To see the other types of publications on this topic, follow the link: প্রবন্ধ.

Journal articles on the topic 'প্রবন্ধ'

Create a spot-on reference in APA, MLA, Chicago, Harvard, and other styles

Select a source type:

Consult the top 50 journal articles for your research on the topic 'প্রবন্ধ.'

Next to every source in the list of references, there is an 'Add to bibliography' button. Press on it, and we will generate automatically the bibliographic reference to the chosen work in the citation style you need: APA, MLA, Harvard, Chicago, Vancouver, etc.

You can also download the full text of the academic publication as pdf and read online its abstract whenever available in the metadata.

Browse journal articles on a wide variety of disciplines and organise your bibliography correctly.

1

Mabud, Muhammad Abdul. "সম্পাদকীয়|Editorial". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 77 (2024): 1–8. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i77.274.

Full text
Abstract:
[সম্পাদকীয়] আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ইসলামী আইন ও বিচার জার্নালের ৭৭ তম সংখ্যা প্রকাশিত হলো। এবারের সংখ্যায় সমসাময়িক ফিকহী বিষয়ের উপর পাঁচটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। শুরুতেই রয়েছে “অমুসলিম দেশে মুসলিমদের জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ: একটি ফিকহী পর্যালোচনা” শীর্ষক প্রবন্ধ। উক্ত প্রবন্ধে মুসলিম কর্তৃক অমুসলিম রাষ্ট্রে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণের বিভিন্ন কারণ ও বাস্তবতা উপস্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক সময়ে বিশ্বায়নের প্রভাব ও জাতিরাষ্ট্রের বাস্তবতায় এ বিষয়টি খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাধারণত বিভিন্ন পার্থিব সুযোগ-সুবিধা লাভ ও রাজনৈতিক কারণ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে পাঠক অমুসলিম দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ ও স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে শরয়ী নির্দেশনা, এবং ক্লাসিক ও আধুনিক বিশেষজ্ঞ ফকীহগণের অভিমত এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত হবেন। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের লেনদেনে বিভিন্ন পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। “আধুনিক আর্থিক লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনসিদ্ধতা: ইসলামী আইনে এর প্রাসঙ্গিকতা ও প্রযোজ্যতা নিরূপণ” শীর্ষক প্রবন্ধে অনলাইন প্রযুক্তির বদৌলতে প্রচলিত মুদ্রাব্যবস্থার উপর ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রমশঃবিস্তৃত প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বিগত দশকগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়টি বিশেষজ্ঞ ফকীহদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে, ফলে তাঁরা বিভিন্ন আঙ্গিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির শরয়ী হুকুম নির্ণয়ে প্রয়াস পেয়েছেন। প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আধুনিক ফকীহদের চিন্তাবৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা যাবে। “ইসলাম ও প্রচলিত আইনে খনিজ সম্পদের ব্যবহার নীতি: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা” শীর্ষক প্রবন্ধে প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে খনিজ সম্পদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনেই খনিজ সম্পদ ব্যবহারে সচেষ্ট হয়। আল্লাহ প্রদত্ত এই নিয়ামতকে আমানত হিসেবে সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যবহার করার মাধ্যমেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। প্রবন্ধের মাধ্যমে পাঠক দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইসলামী দিকনির্দেশনা অনুযায়ী খনিজ সম্পদের ইনসাফপূর্ণ বণ্টন, আহরণ ও ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন। অন্যের প্রতি সম্মান ও সহমর্মিতা ওপর ভিত্তি করে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে ওঠে। “শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ইহসান-এর চর্চাঃ ইসলামের আলোকে একটি পর্যালোচনা” শীর্ষক প্রবন্ধে কুরআন-হাদীসের নির্দেশনা উল্লেখের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরে ইহসানের প্রয়োজন ও গুরুত্বের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে পাঠক নিজ থেকে শুরু করে সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি ইহসান করতে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আশা করা যায়। আমরা বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। মানুষ হিসেবে প্রাপ্য শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারসমূহ আমাদের চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত লুন্ঠিত হচ্ছে। এই যুগ-সন্ধিক্ষণে প্রচলিত মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা দরকার। “মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি ও ইসলামের মানবাধিকার নীতি : একটি বিশ্লেষণ” শীর্ষক প্রবন্ধে মানবাধিকারের ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর পাশাপাশি জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার নীতিমালার বিভিন্ন বিষয়ের পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে পাঠক অবগত হবেন যে, ইসলামী মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে যে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত, তার মাধ্যমেই মানুষের জীবন, স¤পদ, সম্মান, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে এবং সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা হতে পারে। ইসলামী আইন ও বিচার জার্নালের ৭৭ তম সংখ্যায় প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি প্রবন্ধগুলো থেকে সর্বস্তরের পাঠকগণ সমৃদ্ধ হবেন এবং বরাবরের ন্যায় এবারের সংখ্যাটিও সকলের কাছে আদৃত হবে। মহান আল্লাহ এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
2

Datta, Biplab. "রাজশেখর বসুর পরিভাষা ভাবনা". BL College Journal 5, № 2 (2023): 07–17. http://dx.doi.org/10.62106/blc2023v5i2bg1.

Full text
Abstract:
জ্ঞান-বিদ্যা চর্চার ক্ষেত্রে পরিভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা অর্থে যা বুঝি পরিভাষা তা নয়, পরিভাষা বলতে বিশেষ কিছু শব্দসমূহকে বুঝি। ভাষা বদলে গেলে পরিভাষিক শব্দগুলিকে সেই নির্দিষ্ট ভাষায় বদলে ফেলা সবসময় সম্ভব হয় না। তাই পরিভাষা নির্মাণ যে সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন এমনটিও নয়। আমরা পরিভাষা ঋণ নিতে পারি, যেমন, আইন-আদালত ইত্যাদি শব্দগুলি আমরা ঋণ হিসেবে অনেকদিনই গ্রহণ করে নিয়েছি। যে ক্ষেত্রে পরিভাষা ঋণ করে কাজ চালাতে গিয়ে বুঝি যে আমাদের ভাষাতেও একটি শব্দ দরকার তখন আমরা সম-অর্থবোধক নতুন শব্দ বেছে বা তৈরি করে নিই। পরিভাষা চর্চার ইতিহাস বেশ পুরানো। ‘সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা’র ২ বর্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে পরিভাষা বিষয়ক নানা প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছিল। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখেরাও পরিভাষাচর্চা করেছেন। পরিভাষা চর্চার ক্ষেত্রে যে নামটি অত্যন্ত বেশি প্রাসঙ্গিক তিনি রাজশেখর বসু। রাজশেখর বসুর ‘চলন্তিকা’ অভিধানের শেষে ৩০৭৮ টি পারিভাষিক শব্দের একটি তালিকা দিয়েছেন। তিনি পরিভাষা সমিতির সুপারিশ থেকে পছন্দমতো পরিভাষা গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও রাজশেখর পরিভাষা নিয়ে নানা সময়ে নানা বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি প্রবন্ধ হলো ‘বাংলা পরিভাষা’ ও ‘সরকারী পরিভাষা’। এগুলি থেকেই তাঁর পরিভাষা নিয়ে ভাবনাচিন্তা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। পরিভাষা সংক্রান্ত তাঁর নানা ভাবনা-চিন্তার পর্যালোচনাই এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
3

Foyejee, Ziaul Hoque. "মুসলিম সমাজে মোহরানার গুরুত্ব ও অনুশীলন : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ |Importance and Practice of Dowry in Muslim Society : Bangladesh perspective". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 78 (2024): 95–108. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i78.270.

Full text
Abstract:
Dowry is a prerequisite for marriage in Islamic Shari’a. It is absolutely obligatory on every husband to pay it. Through this, Islam has established the social, financial and familial security of every wife as well as her dignity. In Bangladesh, this imperative of Muslim marriage remains largely unaddressed due to ignorance and some blind protectionism. As a result, the rights accorded to wife by Islam are extremely undermined. Proper knowledge on the subject is absolutely essential to determine and pay the dower properly. Kepping in mind the appropriate directions to determine and pay the dower, this research work has been organized. This work employs qualitative method to accomplish the purpose. The author has focused on the views of classical and modern scholars along with the Qur’an and Sunnah. The article has substantiated that ignorance about dower among the people of Bangladesh has assumed a severe practical problem and It is essential to ensure proper religious education and public awareness to overcome this problem. Keywords : dowry, marriage, shariah, family, Bangladesh. সারসংক্ষেপ : মোহরানা ইসলামী শরীয়াতে বিবাহের পূর্বশর্ত। এটি আদায় করা প্রত্যেক স্বামীর উপর একান্তভাবে আবশ্যক। এর মাধ্যমে ইসলাম প্রত্যেক স্ত্রীর সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তার সম্মান প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশে এ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং কিছু অন্ধ রক্ষাকবচের অজুহাতে মুসলিম বিবাহের এ আবশ্যিক বিষয়টি বেশিরভাগ অনাদায়ী থেকে যায়। এর ফলে স্ত্রীর ইসলাম প্রদত্ত অধিকার ক্ষুণœ হয়। মোহরানা সঠিকভাবে ধার্য্য ও আদায় করার জন্য এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞানার্জন একান্ত প্রয়োজন। তাই মোহরানা ধার্য ও আদায়ের সঠিক দিকনির্দেশনাকে সামনে রেখেই আলোচ্য গবেষণাকর্মটি সাজানো হয়েছে। এ প্রবন্ধটি রচনার ক্ষেত্রে গুণাত্মক (য়ঁধষরঃরঃরাব) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি পূর্ববর্তী ও আধুনিক আলেমগণের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত যে, বাংলাদেশের জনসাধারণের মাঝে মোহরানা সম্পর্কে অজ্ঞতা একটি বাস্তব সমস্যায় পরিণত হয়েছে এবং এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানার্জন ও জনসচেতনতা তৈরী অত্যন্ত জরূরী। মূলশব্দ : মোহরানা, বিবাহ, শরীয়াহ, পরিবার, বাংলাদেশ।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
4

মজুমদার (সেনগুপ্ত), পারমিতা. "প্রকৃতি সমন্বয়বাদ শিক্ষাভাবনা প্রকৃতিবাদ আনন্দ যোগ আত্মবিকাশ ব্যাক্তিস্বাত্যন্ত্র সর্বাঙ্গীণ বিকাশ". Philosophy and the Life-world 26, № 00 (2024): 92–109. https://doi.org/10.62424/jplw.2024.26.00.06.

Full text
Abstract:
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানব অস্তিত্ব ও প্রকৃতি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে প্রকৃতি রাজ্য এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান দূরত্বের ফলে মানব জীবনে সহজ সরল আনন্দের উপস্থিতি ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান মানব সমাজ বিভিন্ন দিক থেকে সভ্যতার চরম শিখর স্পর্শ করলেও তার জীবন হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক। এই সময়ে অবস্থান করে মানুষ জড়বাদী ভোগ সর্বস্ব আধুনিক জীবনে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে যা তাকে জীবনের প্রকৃত মূল্য অনুধাবন করতে কোনরূপ সাহায্য করেনা। প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের জীবন যাত্রা কে হয়ত সহজ করেছে কিন্তু এর ফলে মানব যাপনে প্রকৃতির অবদান আমরা বিস্মৃত হয়েছি। উনবিংশ শতকে যে সকল সমাজ সংস্কারক মানব জীবনে প্রকৃতির অবদানের গুরুত্ব গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছিলেন তার মধ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রকৃতির বন্দনা রবীন্দ্র সাহিত্য, কাব্য, সঙ্গীত ও বিভিন্ন প্রবন্ধের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে পরিগণিত হয়। এই সকল রচনার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনেও 'প্রকৃতিবাদের' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 'শিক্ষা দর্শন' প্রয়োগমূলক দর্শনের এক অন্যতম শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যে কোন শিক্ষা তত্ত্বের প্রয়োগ যোগ্যতার মাত্রা নির্ভর করে তার দার্শনিক ভিত্তির গভীরতার ওপর। রবীন্দ্র শিক্ষা দর্শনে দার্শনিক ভিত্তি হিসেবে যে দুটি তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায় সেই দুটি তত্ত্ব হল, ঔপনিষদিক ভাববাদ এবং প্রকৃতিবাদ। শিক্ষা দর্শনের অঙ্গ হিসেবে প্রকৃতিবাদের মূল লক্ষ্য হল প্রকৃতির অবাধ স্বাধীনতার রাজ্যে শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময় আত্মপ্রকাশকে সুনিশ্চিত করা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্রহ্মচর্যাশ্রমের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর সদর্থক বিকাশ লাভের অনুকূল এক স্বাধীন অথচ আদর্শ শিক্ষকের দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত বিচরণ ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আধুনিক সময়ে যে ধরনের শিক্ষা তত্ত্বের প্রচলন লক্ষ্য করা যায় তাতে ব্যাক্তিস্বাত্যন্ত্রের ভূমিকা অর্থাৎ ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী শিক্ষা দানের পদ্ধতি অনেকটাই অবহেলিত। শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীর স্বাধীন বিকাশের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে যে অনতিক্রম্য দূরত্ব তা দূরীভূত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন বলেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিক্ষা দর্শনে 'প্রকৃতিবাদের' এক অনন্যমাত্রার প্রয়োগ করেছিলেন। এই প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা দর্শনে প্রকৃতিবাদের প্রয়োগের যে অনন্যসাধারণ পন্থা তার ওপরে আলোকপাত করার প্রচেষ্টা বলা যায়। ব্যক্তির নিজস্ব ভাবনা চিন্তার ধারা গঠনে প্রকৃতিবাদের যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা এবং বর্তমান সময়ে তার প্রাসঙ্গিকতা কতখানি তা বিচার করে দেখার প্রয়াসও এই প্রবন্ধ রচনার অপর উদ্দেশ্য হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
5

Ashis, Roy. "Ebong prantik Vol 9th, Issue 19th." Ebong Prantik Vol 9th, no. 19 (2022): 1–849. https://doi.org/10.5281/zenodo.5845085.

Full text
Abstract:
অচেনা ভিড়ে চেনাকে খুঁজি। নিরন্তর। অস্বচ্ছকে স্বচ্ছ করার প্রচেষ্টা। প্রতিনিয়ত। বিষয়ের প্রগাঢ়তা উপলব্ধি করি। বারবার। হাজার চেষ্টার মাঝেও অধরা থেকে যায়। মূল বিষয়। শত ক্লান্তির চাদর ভেদ করে প্রকাশিত হয়। অন্তর্নিহিত ভাববস্তু। ভাবনার দূরন্ত ঢেউকে ছুটিয়ে নিয়ে যায় দূর আলোকে। আলোকিত হয় বিষয়ের অলিগলি। এবারের ‘এবং প্রান্তিক’ এই পথেরই সন্ধানী।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
6

Rahman, Md Habibur, та N. M. Shafiul Islam Chowdhury. "বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং এ ইসতিজরার বিনিয়োগ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ|Istijrār Financing in Islamic Banking of Bangladesh : Prospects and Challenges". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 74-75 (2023): 69–96. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i74-75.253.

Full text
Abstract:
This study aims to discuss the prospects and challenges of istijrar financing in the Islamic banking of Bangladesh. Istijrar is a sale-based Shari’ah-compliant supply agreement. Under istijrar, regular supplies of products are made by a master agreement without recurring the contract upon each supply. The price will be calculated later and paid accordingly. This study uses content analysis and qualitative interview methods and conducted 13 interviews with the selected respondents, comprised of Islamic banking experts, Shari’ah experts, and regulatory officials. The ‘thematic analysis’ method has been used to investigate the qualitative data. The study finds that applying istijrar in Islamic banking sector of Bangladesh will be convenient for both banks and clients. Istijrar can be applied independently or as an addition to any other existing mode of investment. Generally, Istijrar can be used for investments such as Murabaha, Mu'azzal, Murabaha post-import etc. Investment through this mode will save time, labor, cost etc. and also reduce potential Shari’ah violations related to Murabaha. However, since Istijrar is a new investment method, various types of training sessions should be arranged among all stakeholders of Islamic banking including bankers, customers, suppliers and Shari’ah officials to increase their knowledge and awareness. সারসংক্ষেপ : ইসতিজরার (الاِسْتِجْرَارِ ) শরীয়াহসম্মত একটি সরবরাহ চুক্তি, যেখানে বারবার চুক্তি করা ব্যতিরেকে প্রধান একটি চুক্তির আওতায় নিয়মিতভাবে পণ্য সরবরাহ করা হয় এবং পরবর্তীতে হিসেব করে পণ্য মূল্য পরিশোধ করা হয়। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এ ইসতিজরার বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করা এ প্রবন্ধের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। এ প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট পর্যালোচনা এবং গুণগত সাক্ষাতকার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে ইসলামিক ব্যাংকিং কর্মকর্তা, শরীয়াহ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১৩টি একক সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। প্রবন্ধের ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং-এ ইসতিজরার বিনিয়োগ ব্যাংক ও ক্লায়েন্ট উভয়ের জন্য সুবিধাজনক হবে। স্বতন্ত্রভাবে কিংবা বিদ্যমান অন্য কোনো বিনিয়োগের সংযোজন হিসেবে ইসতিজরার প্রয়োগ করা যাবে। সাধারণত মুরাবাহা, মু’আজ্জাল, মুরাবাহা পোস্ট-ইমপোর্ট ইত্যাদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইসতিজরার ব্যবহার করা যাবে। ইসতিজরার বিনিয়োগের মাধ্যমে সময়, শ্রম, খরচ ইত্যাদির সাশ্রয় হবে এবং মুরাবাহা সংক্রান্ত সম্ভাব্য শরীয়াহ লঙ্ঘনও হ্রাস পাবে। তবে যেহেতু ইসতিজরার একটি নতুন বিনিয়োগ পদ্ধতি, তাই এর শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকার, কাস্টমার, সাপ্লায়ার এবং শরীয়াহ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ইসলামিক ব্যাংকিং-এর সর্বস্তরের স্টেকহোল্ডারদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
7

Khandakar, Mohammad Rahmatullah. "ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাকাত মূল্যায়ন ও হিসাবয়ন পদ্ধতি|Zakat Determination and Accounting Methods of Banks and Financial Instiutions". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 74-75 (2023): 131–58. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i74-75.252.

Full text
Abstract:
Zakat ranks third among the five main pillars of Islam. As an economic act of worship, Allah, the Exalted, has made it obligatory on able Muslims. The role of Zakat in implementing the great goals of Shari’ah, such as the welfare of people, especially the establishment of economic justice in human society, is undeniable. At present, corporate bodies are recognized as legal persons. There exists divergent analysis, views and practices regarding the issue whether to pay zakat on the assets of banks and financial institutions as a legal person or what will be the determination process and accounting method. In this article various aspects and analysis of Sharia’h principles and widely practiced methods of accounting in zakat assessment of Islamic banks and financial institutions in accordance with the Shari’ah principles have been highlighted. This article has followed descriptive, analytical and review method. It is evident from this article that although there exist differences of opinion among jurists and scholars regarding the assessment process and accounting method of paying zakat on the assets possessed by banks and financial institutions, there is a consensus among them that zakat must be collected on the assets of these institutions to implement the goals and objectives of Shari’ah. সারসংক্ষেপ : ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাতের অবস্থান তৃতীয়। অর্থনৈতিক ইবাদত হিসেবে এটিকে মহান আল্লাহ সক্ষম মুসলমানদের ওপর বাধ্যতামূলক করেছেন। মানুষের কল্যাণ বিশেষ করে মানবসমাজে অর্থনৈতিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার মতো শরী‘আহর মহান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যাকাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আইনানুগ ব্যক্তি (ষবমধষ ঢ়বৎংড়হ) হিসেবে স্বীকৃত। আইনানুগ ব্যক্তি হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ওপর যাকাত প্রদান করতে হবে কিনা, করলে তার নির্ধারণ প্রক্রিয়া ও হিসাবায়ন পদ্ধতি কী হবে-এ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ ও অনুশীলন রয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে শরী‘আহর নীতিমালার অধীনে ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাকাত মূল্যায়নে শারঈ নীতিমালা ও হিসাবায়নের বহুল অনুশীলিত পদ্ধতিগুলোর নানা দিক ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। বর্ণনা, বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনামূলক পদ্ধতিতে রচিত এ প্রবন্ধ থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে যে সম্পদ রয়েছে তার ওপর যাকাত প্রদানের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ও হিসাবায়ন পদ্ধতি নিয়ে মুজতাহিদ ও ফকিহগণের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও শরী‘আহর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ওপর যাকাত আদায় করতে হবে মর্মে তাদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
8

আহমদ কবির. "আহমদ শরীফ : জীবন কথা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 44, № 3 (2002): 179–202. https://doi.org/10.62328/sp.v44i3.377.

Full text
Abstract:
প্রাজ্ঞতা ও পাণ্ডিত্যের যে মহিমা ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের মতো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দুই মহাপণ্ডিতকে ঘিরে থাকত তা আমরা অনুভব করি ডক্টর আহমদ শরীফের মধ্যেও। তিনি বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা পণ্ডিত। তাঁর মৃত্যুতে বড় মাপের পণ্ডিত ও গবেষকদের জমানা প্রায় শেষ হল বলে মনে করি। বাংলাদেশের জ্ঞান বিদ্যার জগতে তিনি এক বিরাট মহীরুহ, এক অনন্যসাধারণ শিক্ষক ও অনুপম ব্যক্তিত্ব। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডক্টর শরীফের গবেষণা ও পাণ্ডিত্যের প্রধান এলাকা হলেও তিনি ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, রাজনীতি, শিক্ষানীতি ইত্যাদি মানববিদ্যার বিচিত্র শৃঙ্খলা সম্বন্ধে ছিলেন অনুসন্ধিৎসু এবং এসব বিষয়ে তিনি লিখেছেন একাধিক আলোচনা-সমালোচনা ও প্রবন্ধ এবং সেগুলোর কোনো কোনোটি গভীর দার্শনিক তত্ত্বসমৃদ্ধ, কোনো কোনোটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণঋদ্ধ। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার কৃতিত্ব একমাত্র তাঁরই। যোগ্য সম্পাদনা করে ধূসর বিবর্ণপ্রায় বাংলা পুথিগুলোকে জীবন্ত রূপ দান এবং সেগুলোকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের ধারায় বিশ্লেষণ ও বিন্যস্ত করা তাঁর অতুলনীয় কীর্তি। তবে শুধু ইতিহাসের অতীতে নয়, প্রতিদিনের চলমান জীবন সম্বন্ধেও ডক্টর শরীফ ছিলেন দারুণ কৌতূহলী। তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন মানুষের হালচাল, জীবনযাত্রা, আর্থিক অবস্থা, রাজনীতির ছবি, সাংস্কৃতিক কর্মতৎপরতা, এবং এমন আরো কত প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গ এবং এ-সব সম্বন্ধে লিখতেন তাঁর ক্ষুদ্র নিবন্ধে কিংবা হালকা চালের প্রবন্ধে। বলাবাহুল্য, আমাদের চিন্তার জগতে ডক্টর আহমদ শরীফের বেশ বড় প্রভাব রয়েছে।বাংলাদেশের বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের তিনিও এক সেনাপতি। তাঁর বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার কেন্দ্রীয় প্রণোদনা মানবমঙ্গল। সেজন্য সামাজিক অন্যায়, শোষণ ও পীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর কলম সবসময় শাণিত, সবসময় তীক্ষ্ণমুখ এবং বেজায় সাহসী। যুক্তিহীন, পশ্চাৎপদ, রক্ষণশীল, অন্ধ প্রথাবদ্ধ ধ্যানধারণার তিনি ঘোর বিরোধী। তিনি বলেন, মানুষের দুই পা, দুই হাত, দুই চোখ সামনের দিকে, সুতরাং অগ্রযাত্রাই মানুষের জন্য স্বাভাবিক। প্রতিদিন সূর্যও একভাবে ওঠে না। পুরোনো নিয়ে থাকলে মানুষ এগুবে কী করে। মানুষ বিকাশশীল প্রাণী, বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষের পুরোনো ধ্যানধারণা ও বিশ্বাসের দুর্গ ভেঙে যাবে এবং এইভাবে মানুষ সভ্যতার পথে এগিয়ে যাবে। ভূতে-ভগবানে ও শাস্ত্রে ডক্টর শরীফের সম্পূর্ণ অনাস্থা, আর যুক্তি দর্শন ও বিজ্ঞানে তাঁর পূর্ণ আস্থা। নাস্তিক্যদর্শন জগৎসংসারে নতুন কোনো প্রসঙ্গ নয় । তিনি এ দর্শনে স্বস্তি পেতেন এই জন্য যে তা সর্বমানবিক, অসাম্প্রদায়িক এবং সম্পূর্ণরূপে অসূয়ামুক্ত। মানুষের ঈশ্বরে তাঁর আপত্তি নেই, কিন্তু ধর্মের ঈশ্বরে তিনি প্রত্যয় পাননি। যতই দিন গিয়েছে, ততই যুক্তি ও বিজ্ঞান তাঁকে টেনেছে এবং তাঁর জ্ঞান বুদ্ধিকে পাকাপোক্ত করেছে। সন্দেহ নেই, ডক্টর আহমদ শরীফ তাঁর মননঋদ্ধ রচনার মাধ্যমে আমাদের ভাবচিন্তার জগতে বিপুল আলোড়ন তুলেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অভিভাবকতুল্য চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
9

uzzaman, Zahid. "ইসলামিক ফিনটেক : ধারণা এবং প্রয়োগ | Islamic Fintech : Concept and Application". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 74-75 (2023): 213–52. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i74-75.245.

Full text
Abstract:
The term fintech is a combination of the words finance and technology. This term is used for financial services companies providing technology-based products and services. Fintech is more powerful and smarter than the past times in modern times. In fact, fintech has created a new performance standard, positioning itself as a potential partner to traditional banking and industry through customer-centric services and products.From this point of view, Islamic fintech adds some additional guidelines to the general fintech framework.Islamic financial institutions provide Islamic finance services according to Islamic Shari’ah. Before adding a new product to Islamic finance, the product has to pass the Halal-Haram criteria. At the same time, it is necessary to verify whether the product is following the Maqasid al-Sharia or not. The purpose of this paper is to portray the key concepts and future action plans of Fintech and Islamic Fintech. This article follows the descriptive and analytical approach and endeavors to demonstrate that in contemporary world fintech is an inevitable subject for financial companies and institutions. Along with general fintech, Islamic fintech has also become important. Thus, it is the high time to accelerate the progress of Islamic finance by setting up a comprehensive structure. সারসংক্ষেপ : ফিনটেক পরিভাষাটি ফাইন্যান্স ও টেকনোলজি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। টেকনোলজিভিত্তিক পণ্য ও সেবা প্রদানকারী ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির ক্ষেত্রে এ পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়। ফিনটেক অতীত সময় থেকে আধুনিক সময়ে আরও বেশি শক্তিশালি এবং স্মার্ট। বাস্তবে ফিনটেক নতুন একটি কর্মক্ষমতার মানদ- তৈরি করেছে, গ্রাহক কেন্দ্রীক সেবা ও প্রোডাক্টের মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকিং এবং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী ফিনটেকের সাথে সাধারণ ফিনটেকের কাঠামোতে কিছু বাড়তি নির্দেশনা যুক্ত হয়। ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ইসলামিক ফাইন্যান্স সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ইসলামিক ফাইন্যান্সে নতুন কোনো প্রডাক্ট যুক্ত করার আগে প্রডাক্টটির হালাল-হারামের মানদ-ে উত্তীর্ণ হতে হয়। একই সাথে প্রডাক্টটি মাকসিদ আল-শরীয়া অনুসরণ করছে কিনা এ সম্পর্কিত বিষয়সমূহও যাচাই করতে হয়ে। ফিনটেক এবং ইসলামিক ফিনটেকের মূল ধারণা এবং ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা সৃষ্টি করা এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে রচিত এ প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, ফিনটেক ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনিবার্য বিষয়। সাধারণ ফিনটেকের পাশাপাশি ইসলামী ফিনটেকও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। ফলে এর পরিপূর্ণ একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে ইসলামী ফাইন্যান্সের অগ্রযাত্রা তরান্বিত করা সময়ের দাবী।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
10

Ara, Hosne. "<b>নজরুল-প্রতিভা: ফার্সি কাব্যানুবাদের প্রেক্ষাপটে</b>". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 58, № 3 (2023): 53–68. http://dx.doi.org/10.62328/sp.v58i3.4.

Full text
Abstract:
সারসংক্ষেপ: নজরুল-সাহিত্যে ফার্সি কবি ও কবিতার প্রভাব অনন্য। কবি-জীবনের সূচনালগ্নে নজরুল ফার্সি-সাহিত্য পাঠ করেছেন নিবিড়ভাবে এবং অনুবাদও করেছেন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ফার্সি কবিতা। পরবর্তীসময়ে নজরুল যখন কবি-গীতিকার হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছেন, তখন অনুবাদ করেছেন ফার্সি ভাষার কবি হাফিজ ও ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ। আলোচ্য প্রবন্ধে নজরুলের এই কাব্যদ্বয় অনুবাদের প্রেক্ষাপটে নজরুল-মানস চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফার্সি কাব্যানুবাদের সূত্রে নজরুলের ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধিতা, স্বদেশ-স্বভাষার প্রতি অনুরাগ প্রকাশিত হয়েছে। তার স্বরূপ-সন্ধান এ প্রবন্ধের লক্ষ্য।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
11

Barman, Dr Dipak Chandra. "গৌড়বঙ্গের লোকসাহিত্য : প্রসঙ্গ কৌতুকরস". ENSEMBLE 3, № 1 (2021): 190–96. http://dx.doi.org/10.37948/ensemble-2021-0301-a023.

Full text
Abstract:
সাহিত্যের নবরসরত্নের মধ্যে দ্বিতীয় রত্ন হাস্যরস। ‘হাস’ স্থায়ী ভাব থেকে এর উদ্ভব। হাস্যরসের বিভিন্ন উপধারার মধ্যে অন্যতম হল কৌতুকরস (Fun)। হাসির সঙ্গে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের, যে কোনো বয়সের মানুষের যোগ অচ্ছেদ্য। অবশ্য আধুনিক-উত্তর সময় পর্বে এই পরম্পরাগত সত্য জিজ্ঞাসা চিহ্নের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। আবার এও সত্য আমাদের হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় সুখ-দুঃখ, আনন্দ-যন্ত্রণা পাওয়া-না পাওয়া, যূথবদ্ধতা-নিঃসঙ্গতা, পারস্পরিক বিনিময়-পরশ্রীকাতরতা সহোদরার মতো সমান্তরাল স্রোতধারায় প্রবহমান। তবে একুশ শতকের যন্ত্র নিয়ন্ত্রিত জীবন ভাবনায় ‘সকল লোকের মাঝে ব’সে/ আমার নিজের মুদ্রাদোষে/ আমি একা হতেছি আলাদা?’— এই জিজ্ঞাসা চিহ্নের অঙ্কুশাগ্র নাগরিক জীবনের পাশাপাশি গ্রাম জীবনকেও মাত্রাধিক্যে বিদ্ধ করার প্রবণতা লক্ষণীয় ভাবে ক্রমবর্ধমান। সভ্যতার ‘অস্বাভাবিক’ অগ্রগতির ফলে মানুষ ক্রমশ হাসতে ভুলে যাচ্ছে অথচ হাসি মনুষ্য-বৃক্ষের শেকড়। শেকড়কে উপড়ে ফেলে বৃক্ষে জল সিঞ্চন— কালিদাসীয় পথ অনুসরণ। পরিবেশকে সজীব রাখার জন্য যেমন এক একটি বৃক্ষ নয় বনাঞ্চল প্রয়োজন তেমনি মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষের যূথবদ্ধ সামাজিক পরিচয় প্রয়োজন। লোকায়ত জীবন এখনো নিজস্ব স্থানিক সংস্কৃতিকে লালন করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সমাজের বহুস্বরিক আনন্দকে যেভাবে টিকিয়ে রেখে চলেছেন তা নাগরিক ‘সভ্য সমাজে’র কাছে শিক্ষণীয়। এমন সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লোকসাহিত্যে কৌতুকরস প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তবে আলোচনার অভিমুখের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বর্তমান প্রবন্ধ গৌড়বঙ্গ অর্থাৎ দুই দিনাজপুর ও মালদহের লোকজীবন ও সাহিত্যের কৌতুকরস প্রসঙ্গ আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
12

Mahmud, Boorhan Al. "বিশেষজ্ঞ আলেমদের দৃষ্টিতে ‘আহলুল হাল্ল ওয়াল আকদ’: প্রাক-আধুনিক ও আধুনিক সময়ের আলোকে একটি বিশ্লেষণ| ‘Ahl al-Ḥall Wa al-ʻAqd’ in the View of Esteemed Scholars: An Analysis in the Light of Pre-Modern and Modern Times". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 79-80 (2025): 37–62. https://doi.org/10.58666/iab.v20i79-80.265.

Full text
Abstract:
As part of the scheme of Islam to resolve the complexities of various spheres of human life, the importance of authoritative, universally acceptable and knowledgeable persons well versed in the Qur’an and Sunnah to offer crucial decisions has been recognized in the society. In the eyes of learned jurists, this section of Muslim society is mainly considered as ‘Ahl al-Ḥall Wa al-ʻAqd’. The term has been reflected in the writings of expert Muslim jurists, Jurisprudents (scholars of Principles of Islamic Jurisprudence), thinkers and theorists at different times in multifarious ways. Moreover, this very term has undergone changes over time. This important term, widely used in Islamic Shariah, remains almost unspoken in Bangla (Bengali) language. Keeping the aforesaid reality in mind, this article, written in a descriptive and analytical manner,has demonstrated that modern Muslim scholars are revisiting the understanding of pre-modern thinkers about the ‘Ahl al-Ḥall Wa al-ʻAqd’ to a greater extent. Furthermore, the author has maintained that it is quite complex and difficult to reconcile the ideological differences and distances that have arisen between Muslim scholars of two different times and realities around this term. সারসংক্ষেপ : মানুষের যাপিত জীবনের বিভিন্ন স্তরের জটিলতা নিরসনে ইসলামের যে নির্দেশনা বিদ্যমান, তারই অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহতে সমাজের কর্তৃত্বশীল, সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বিদগ্ধ আলেম ও ফকীহদের দৃষ্টিতে, মুসলিম সমাজের এই অংশটিই মূলত ‘আহলুল হাল্ল ওয়াল আকদ’ হিসেবে বিবেচিত। উক্ত পরিভাষাটি বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ ফকীহ, উসূলবিদ, চিন্তাবিদ ও তাত্ত্বিকদের লেখনীতে বহুমাত্রিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই সাথে এই পরিভাষাকেন্দ্রিক চিন্তাধারাও সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এই গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষাটি বাংলা ভাষায় প্রায় অনুচ্চারিত রয়ে গেছে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে বর্ণনামূলক ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে আলোচ্য প্রবন্ধটি রচিত হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে যে, প্রাক-আধুনিক বিশেষজ্ঞ আলেমদের ‘আহলুল হাল্ল ওয়াল আকদ’ নিয়ে যে বোঝাপড়া ছিল, আধুনিক সময়ের মুসলিম স্কলারগণ তার অনেক কিছুই পুনর্বিবেচনা করছেন। একই সঙ্গে, বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এই চিন্তাগত পার্থক্যের মূল উৎস অনুসন্ধান করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, উক্ত পরিভাষাকে কেন্দ্র করে দুটি ভিন্ন সময় ও বাস্তবতায় অবস্থানকারী মুসলিম মনীষীদের মাঝে যে চিন্তাগত পার্থক্য ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেগুলোর সমন্বয় সাধন যথেষ্ট জটিল ও দূরূহ।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
13

Islam, Jahirul. "বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিস্তার : ইসলামের দৃষ্টিতে একটি পর্যালোচনা |The Spread of Transgender Ideology in Bangladesh : A Critique from Islamic Perspective". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 78 (2024): 109–34. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i78.276.

Full text
Abstract:
Transgender issue has become a hotly debated topic recently. This is a topic related to the gender identity issues. Transgender refers to the condition in which some people with mental disorders identify their identity and gender as different from their biological sex. The inner feelings and sexual orientation of this group stand opposite to the apparent gender. This is due to dissatisfaction, disharmony and mental disorders in their body and mind. It is very difficult to accept their existence, because most of the people of Bangladesh consider this phenomenon as a deviation and it is in conflict with the prevailing moral and religious values of the society. The Qur’an and Sunnah has addressed this issue explicitly. Scrupulously considering the acute sensitivity of the doctrine this article aims to generate awareness among the Bengali-speaking Muslim community. The author has employed descriptive and analytical methods in this study. This article has demonstrated that a section of Muslim-majority Bangladesh is trying to legalize the transgender issue, despite the fact that this practice is strictly prohibited in Islamic Sharia. In such a situation, this study urges that it is the responsibility of people of all walks of life to curb this faith-destroying sedition and work unitedly to prevent its spread. Keywords : transgender, hijra, gender identity, mental illness, religious values. সারসংক্ষেপ : সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু বহুল চর্চিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটি লিঙ্গ পরিচয়জনিত সমস্যার সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। ট্রান্সজেন্ডার সেই অবস্থাকে বোঝায়, যা কিছু মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত লোক তাদের পরিচয় ও লিঙ্গকে জৈবিক লিঙ্গ থেকে ভিন্ন দাবী করে। এই গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ অনুভূতি এবং যৌন অভিযোজন আপাত লিঙ্গের বিপরীত। এর কারণ হলো, তাদের শরীর ও মনের মধ্যে অসন্তোষ, অসঙ্গতি ও মানসিক ব্যাধির উপাদান বিদ্যমান। তাদের দাবী মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের দাবীকে বিচ্যুতি হিসাবে বিবেচনা করে এবং এটি সমাজের বিদ্যমান নৈতিক মূল্যবোধ ও ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। এ বিষয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্টভাবে কুরআন-সুন্নাহতে উল্লেখ হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে বাংলাভাষী মুসলিম সমাজকে এ মতবাদ সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এ প্রবন্ধটি প্রণীত হয়েছে। এ গবেষণায় বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। এ প্রবন্ধ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী শরীয়ত এই কাজটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে একটি মহল ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুটিকে আইনানুগ বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্ব, ঈমান বিধ্বংসী এই ফেতনার লাগাম টেনে ধরা এবং এর প্রসার রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। মূলশব্দ : ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া, লিঙ্গ পরিচয়, মানসিক অসুস্থতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
14

Prof., Dr. Muhammad Abdussttar, Al Faruque Abdullah та Abdullah Fawzia. "শান্তিময় পরিবেশ রক্ষায় গ্রন্থাগার ও তথ্য সেবার ভূমিকা". International Journal of Innovative Research in Engineering & Multidisciplinary Physical Sciences 11, № 5 (2023): 1–9. https://doi.org/10.5281/zenodo.8351553.

Full text
Abstract:
একটি সমাজ তথা দেশ বা জাতীয়ভাবে লাইব্রেরী ও তথ্য সেবার ভূমিকা পালনের মাধ্যমে শান্তিময় পরিবেশ থাকবে কি খাকবে না, এই প্রবন্ধের মূল ভিত্তি গ্রোথিত। যে কোন সংকট বা দ্বন্দ্বের প্রতিষেধক শান্তি; সমাজে ও দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে &nbsp;আশেপাশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় না থাকলে কোন জাতি তথা দেশ সত্যিকারের উন্নয়ন অনুভব করতে পারে না। শান্তি ও উন্নয়ন একটি অপরটির পরিপূরক; যা সংকট মোকাবিলায় একটি প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করে। উন্নয়ন ও শান্তি অনুশীলনের জন্য মূখ্যত প্রয়োজন হয় শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক-উভয় শিক্ষাই মানব সমাজকে জ্ঞান লাভের অনুপ্রেরণা যোগাতে সক্ষম। জনগণের মধ্যে যথাযথ শিক্ষা তথা জ্ঞান ছাড়া কোন অর্থবহ উন্নয়ন ঘটতে পারে না। জীবনব্যাপী শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে গ্রন্থাগার এবং তথ্য সেবা। &nbsp;অতএব, আজকের বিশ্বে শান্তির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে জাতীয় সংকট বা দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে গ্রন্থাগারিক এবং তথ্য বিজ্ঞানীরা কৌশলগতভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছেন এবং সেবা প্রদানেও যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এ প্রবন্ধে &lsquo;অ-অভিজ্ঞতামূলক&rsquo; (non-empirical) এবং &lsquo;তথ্যভিত্তিক&rsquo; (documentary) গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, দুইজন ব্যক্তি একইভাবে চিন্তা এবং দৃশ্যত &nbsp;সাদৃশ্য দেখতে পায় না, বক্ষমান প্রবন্ধে কীভাবে সমাজের বসবাসকারীরা যুক্তি প্রদর্শন করে এবং গ্রন্থাগার সেবা ব্যবহার করে সমানভাবে চিন্তা করতে পারে সাদৃশ্যময়তা প্রত্যক্ষ করতে পারে তার উপর আলোচনা করা হয়েছে। ফলে, এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য হচ্ছে একাডেমিক গ্রন্থাগার, গণগ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্রসমূহ ব্যবহার করে এবং গ্রন্থাগার সমিতিগুলো সম্পূরক কার্যক্রম গ্রহণ করে জাতীয় সংকট ও দ্বন্ধ নিরসন করে কীভাবে গ্রন্থাগারিক ও তথ্যবিজ্ঞানীরা সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রভাব বিস্তার ও ভূমিকা পালন করে শান্তিময় পরিবেশ রক্ষা করতে সক্ষম তারই মূল্যায়ন করা হয়েছে। সামাজিক ও জাতীয় সংকট বা দ্বন্দ্বের বিভিন্ন কারণ নির্ণয় এবং নিরসনের উপায়গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে যা গ্রন্থাগার ব্যবহার ও তথ্যসেবা প্রদান করে মোকাবেলা করা যেতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে: বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, আন্তঃবিবাদের সমাধান, সমঝোতা এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা। সামাজিক ও জাতীয় সংকট বা দ্বন্দ্ব সমাধানে গ্রন্থাগার এবং তথ্য সেবার চ্যালেঞ্জগুলোও উপস্থাপন করা হয়েছে, উপসংহার এবং সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
15

Foyejee, Guyal Mohammad Giaul Hoque. "দরিদ্রতা হ্রাসে ‘সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট’ এর কার্যক্রম: একটি পর্যালোচনা|The Activities of the ‘Center for Zakat Management’ in Reducing Poverty: A Review". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 79-80 (2025): 111–36. https://doi.org/10.58666/iab.v20i79-80.280.

Full text
Abstract:
Poverty signifies the inability to meet the minimum requirements of life’s necessities with what one possesses. Although many strategies have been adopted in the modern world to reduce poverty, in reality poverty is increasing day by day. Zakat management ordained by Allah (SWT) can be considered as one of the methods to reduce the poverty. In order to prove that Zakat has been made obligatory to reduce the gap between the rich and the poor and to make the marginalized population economically self-sufficient it is essential to follow the appropriate method in the management of collection and distribution of Zakat. In the contemporary landscape of Bangladesh, the activities and methods adopted by the “Center for Zakat Management” can be presented as a model. For this, the research work in question has been arranged with the aim of providing guidelines for reducing poverty through giving and receiving Zakat in the light of the basic teachings of Islam as well as of modern management studies. Qualitative method has been followed in this research paper. The article in question has substantiated that if Zakat is paid through government, non-governmental and various institutions and by individuals following the proper methods, it may have the potential to reduce poverty in society. It is expected that this will eventually play a significant role in building a balanced society and achieving the SDG goals adopted by the government. সারসংক্ষেপ : দরিদ্রতা হলো নিজের কাছে যা আছে তা দিয়ে জীবনের আবশ্যকীয় জিনিসের ন্যূনতম চাহিদা মিটাতে সক্ষম না হওয়া। দরিদ্রতা হ্রাসকরণে আধুনিক বিশ্বে অনেক কৌশল গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে দরিদ্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আল্লাহ প্রদত্ত যাকাত ব্যবস্থাপনা এ দরিদ্রতা নিরসনের জন্য অন্যতম পন্থা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যাকাত যে ধনী-গরীবের ব্যবধান কমানো এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্যই ফরয করা হয়েছে তা বাস্তবে প্রমাণিত হওয়ার জন্য যাকাত আদায় ও বণ্টন ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে “সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট” এর কার্যক্রম ও পদ্ধতিকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। এজন্য ইসলামের মৌলিক অনুশাসনের আলোকে এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিদ্যার নিরিখে যাকাত প্রদান ও গ্রহণের মাধ্যমে দরিদ্রতা হ্রাসকরণের দিক নির্দেশনা প্রদানের উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখেই আলোচ্য গবেষণা কর্মটি সাজানো হয়েছে। এ গবেষণা প্রবন্ধটি রচনার ক্ষেত্রে গুণগত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকারি, বে-সরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যাকাত প্রদান করলে সমাজ থেকে দরিদ্রতা হ্রাস করা সম্ভব হতে পারে।এতে করে ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন ও সরকারের গৃহীত এসডিজির লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
16

Uddin, Mizbah. "অমুসলিম দেশে মুসলিমদের জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ : একটি ফিকহী পর্যালোচনা |Nationality and Citizenship of Muslims in Non-Muslim Countries : A Fiqhi (Jurisprudential) Review". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 77 (2024): 9–34. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i77.264.

Full text
Abstract:
After the European Renaissance and at the end of the 19th century, the modern state system in the contemporary world has emerged. As a result of this, on the one hand, the material progress of the world is achieved, on the other hand, moral backwardness is also observed. Due to this, some people rush towards a better way of life and are interested in acquiring nationality and citizenship in developed countries. Especially in this era of globalization, the present Muslim generation travels to non-Muslim countries to enjoy various worldly opportunities and privileges including higher education. In course of time, they acquir nationality and citizenship in those states and reside there with their next generation. As a result, the acquisition of nationality and citizenship by Muslims in non-Muslim countries has become a much-discussed issue. When to settle in a non-Muslim country, and when not, under what conditions one can accept nationality and citizenship in a non-Muslim country, and under what conditions it cannot be accepted- an endeavor has been made to find the answers to these questions in this study. In the late 19th and early 20th centuries, there were differences of opinion among Islamic jurists regarding the adoption of nationality and citizenship by Muslims in non-Muslim countries, but in modern times, Islamic jurists have approved it subject to certain conditions. After reading this paper, written in a descriptive and analytical manner, it will be evident that nationality and citizenship in non-Muslim countries can be accepted for the purposes of Shariah-compliant requirements such as conducting continuous Islamic da'wah activities; rather, it is indispensable in certain cases. সারসংক্ষেপ : ইউরোপীয় রেনেসাঁর পরবর্তী সময়ে এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব হয়। এর ফলে একদিকে যেমন পৃথিবীর বস্তুগত অগ্রগতি সাধন হয়, অপরদিকে তেমন নৈতিক পশ্চাৎপদতাও পরিলক্ষিত হয়। ফলে তুলনামূলক উন্নততর জীবনযাত্রার দিকে কিছু মানুষ ধাবিত হয় এবং উন্নত রাষ্ট্রে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণে আগ্রহী হয়। বিশেষত বিশ্বায়নের এই যুগে বর্তমান মুসলিম প্রজন্ম উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন পার্থিব সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার নিমিত্তে অমুসলিম রাষ্ট্রে গমন করে। কালের পরিক্রমায় তারা সেসব রাষ্ট্রে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তাদের পরবর্তী প্রজন্মসহ সেখানে অবস্থান করে। ফলে মুসলিম কর্তৃক অমুসলিম রাষ্ট্রে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ বহুল চর্চিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কখন অমুসলিম রাষ্ট্রে অবস্থান করা যাবে, আর কখন করা যাবে না, কী কী শর্ত পাওয়া গেলে অমুসলিম রাষ্ট্রে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ করা যাবে, আর কোন অবস্থায় তা গ্রহণ করা যাবে না- বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষাংশে ও বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে অমুসলিম রাষ্ট্রে মুসলিম কর্তৃক জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ নিয়ে ইসলামী আইনতত্ত্ববিদগণের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও আধুনিককালে শরীয়াহ বিশেষজ্ঞগণ নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে এর অনুমোদন দেন। বর্ণনামূলক ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে রচিত আলোচ্য প্রবন্ধ পাঠান্তে জানা যাবে, শরীয়াহ সম্মত প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে যেমনÑনিরবচ্ছিন্ন ইসলামী দাওয়াহ্ কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব গ্রহণ করা যাবে; বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা আবশ্যকও বটে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
17

Alam, Md Mahbub-ul. "ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থায় কল্যাণমুখী কার্যক্রম : ক্যাশ ওয়াকফ প্রসঙ্গ|Welfare Activities in Islamic Banking System Case of Cash Waqf". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 74-75 (2023): 47–68. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i74-75.148.

Full text
Abstract:
Islamic Banking system is devised to ensure human welfare as well as to translate the noble principles of Islamic Economics into reality. For this specific reason, public welfare is posited in the frontline of each and every activities of Islamic Banking. Premising on the wings of investigation and analysis this article intends to portray the different welfare activities of Islamic Banking system with a specific focus on ‘Cash Waqf’. With a view to accomplishing this research the author has reviewd relevant primary and secondary research works. Moreover, his experience in banking sector has also strengthened the thread of this research. The author, through his lucid deliberation and articulation, has endeavored to spell out that public welfare is translated through different mechanisms in each and every phase of the activities of Islamic Banks. Only a meticulous appreciation can reveal the far reaching impact of such activities upon the society and state. Cash Waqf, an effective tool, in fact, inherently retains the potentials to fulfil the necessity of human being as well as to significantly contribute in constructing societal infrastructure. ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি কার্যক্রমে জনকল্যাণকে প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার নানামুখী জনহিতকর কার্যক্রম তুলে ধরার উদ্দেশ্যে রচিত এ প্রবন্ধটিতে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছে এবং বিশেষ প্রসঙ্গ হিসেবে ক্যাশ ওয়াকফকে বাছাই করা হয়েছে। প্রবন্ধটিতে প্রাথমিক ও দ্বৈতয়িক সাহিত্যকর্ম থেকে তথ্য-উপাত্ত গ্রহণের পাশাপাশি প্রবন্ধকারের অভিজ্ঞতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা ও আঙ্গিকে জনকল্যাণ সাধিত হয়। কাল পরিক্রমায় সমাজ ও রাষ্ট্রে এর স্পষ্ট প্রভাব দৃশ্যমান হয়। এক্ষেত্রে ক্যাশ ওয়াকফ এক দীপ্তিমান আলোকবর্তিকা। এর মাধ্যমে একাধারে মানুষের প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি সমাজের অবকাঠামোগত উন্নয়নও সম্ভব।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
18

Matubber, Abdus Sabur. "শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ইহসান-এর চর্চা : ইসলামের আলোকে একটি পর্যালোচনা|The Practice of Ihsan in Building a Peaceful Society : A Review in the Light of Islam". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 77 (2024): 83–104. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i77.268.

Full text
Abstract:
The highest peak of morality and aesthetics of human life is ‘Ihsan’. It is quite evident from the different statements in the Qur'an and Hadith (Prophetic Traditions) that Allah loves His ‘Muhsin’ servants, i.e. those who do good. If we look at the practical meaning of Ihsan, it can be comprehended that the essence of Ihsan is to treat others with the highest good behavior as the best creation and to perform a task as perfectly as possible. So the significance of Ihsan at every level of society is easily conceivable. Scrupulously considering this issue, the current article has portrayed the multi-dimensional practices of Ihsan in building a peaceful society. Following descriptive and analytical methods and specially in the light of Islamic directives, this write-up has endeavored to shed light on the areas of Ihsan towards different sections of the society, starting from individuals. It is quite evident from the article that there is no alternative to the practice of Ihsan prescribed by Islam in building a peaceful society. সারসংক্ষেপ : মানবজীবনের নৈতিকতা ও নান্দনিকতার সর্বোচ্চ চূড়া হলো ‘ইহসান’। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর ‘মুহসিন’ বান্দা তথা ইহসানকারীদের পছন্দ করেন। ইহসানের ব্যবহারিক অর্থের দিকে খেয়াল করলে বোঝা যায়, সর্বোত্তম সৃষ্টি হিসেবে অন্যের প্রতি সর্বোচ্চ ভালো আচরণ এবং কোনো কাজ যথাসম্ভব নিখুঁতভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য সচেষ্ট থাকাই ইহসানের মূল মর্ম। সুতরাং সমাজের প্রতিটি স্তরে ইহসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। এ বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখেই আলোচ্য প্রবন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ইহসান- এর বহুমাত্রিক চর্চা সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রবন্ধে বর্ণনামূলক ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে ইসলামী নির্দেশনার আলোকে ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতি ইহসানের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ইসলাম নির্দেশিত ইহসান চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
19

Uddin, Md Mohi. "বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা পলিসি : একটি নৈতিক পর্যালোচনা|Health Insurance Policy for University Students in Bangladesh : An Ethical Review". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 76 (2024): 101–18. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i76.260.

Full text
Abstract:
Several universities in Bangladesh have health insurance policies in place for students. All students who choose to avail health insurance must have to pay a certain amount of premium that covers them for a full year. Owing to its resemblance to conventional health insurance, certain things objectionable from the point of view of Shariah have been added to it such as interest, uncertainty (gharar) etc. The article, prepared in a hybrid technique combining qualitative and quantitative methodologies, reviewed the prohibitions of conventional insurance and presented its alternatives. It was based on a field survey of students of a particular university. The paper demonstrates that most of the university students are reluctant to avail health insurance that is prohibited by Sharia law and wish for an alternative to a system that really considers the welfare of students. The article makes it abundantly evident that, in the context of Bangladesh, Islamic Takaful based on the “Tabarru” model may serve as an alternative to conventional health insurance. সংক্ষিপ্তসার: বাংলাদেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা পলিসি কার্যকর রয়েছে। স্বাস্থ্যবীমা বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রত্যেক বছর পরিশোধ করতে হয় যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একবছরের জন্য স্বাস্থ্যবীমার আওতায় চলে আসে। প্রচলিত স্বাস্থ্যবীমার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ার কারণে শরীয়তের দৃষ্টিতে আপত্তিকর কিছু বিষয় এতে যুক্ত হয়েছে যেমন- সুদ, অনিশ্চয়তা (গারার) ইত্যাদি। গুণাত্মক (Qualitative Method) ও সংখ্যাত্মক পদ্ধতির (Quantitative Method) সমন্বয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে (Mixed Method) রচিত প্রবন্ধে প্রচলিত বীমার নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এর বিকল্প উপস্থাপন করার পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর মাঠপর্যায়ে জরিপ করা হয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শরীয়তের দৃষ্টিতে আপত্তিকর স্বাস্থ্যবীমার সাথে জড়িত হতে অনিচ্ছুক এবং তারা এর বিকল্প হিসেবে এমন একটি ব্যবস্থার আশা করে, যেখানে প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ রয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রচলিত স্বাস্থ্যবীমার বিকল্প হতে পারে ‘তাবাররু’ মডেলভিত্তিক ইসলামী তাকাফুল।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
20

Chowdhury, Muhammad Alauddin. "দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: একটি ফিকহী পর্যালোচনা|Commodity Price Control : An Examination from Islamic Legal Perspective". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 19, № 76 (2024): 77–100. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v19i76.259.

Full text
Abstract:
The protection of human resources is one of the five fundamental objectives that Islamic Shari’ah has taken into consideration. Controlling prices is a crucial component in safeguarding human resources since the rise in commodities costs has an adverse effect on the civic lives of the people. Although the Islamic Shari’ah has recognized the ownership of individuals and provided the opportunity to earn profit, it has also permitted price control measures for the sake of collective welfare. Regarding price regulation, divergent views are noted among the jurists. The author, in this paper, has explicated the issue from the perspective of Islamic Law. The write up was produced using both descriptive and analytical research methodologies. The article demonstrates that the state reserves the authority to regulate the price of commodities under certain circumstances to ensure greater public welfare. The author argues that if the price is effectively regulated, there will be relief in public life. সংক্ষিপ্তসার: ইসলামী শরীয়ত যে পাঁচটি মৌলিক উদ্দেশ্যকে বিবেচনায় এনে তা সংরক্ষণের সর্বোচ্চ তাগিদ দিয়েছে তন্মধ্যে মানুষের সম্পদের সুরক্ষা অন্যতম। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ মানুষের সম্পদ সুরক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনগণের নাগরিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ইসলামী শরীয়ত লেনদেনে একদিকে যেমন ব্যক্তির স্বাধীন মালিকানা স্বীকার করে মুনাফা অজর্নের সুযোগ প্রদান করেছে, অন্যদিকে তেমন অবস্থাভেদে সামষ্টিক কল্যাণের নিমিত্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। ফকীহদের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। আলোচ্য প্রবন্ধটি ফিকহী দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত। প্রবন্ধটি রচনার ক্ষেত্রে বর্ণনামূলক (Descriptive Method) ও বিশ্লেষণাত্তক (Analytical Method) গবেষণাপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করার জন্য রাষ্ট্র দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং কার্যকর পন্থায় এ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
21

সিংহ, স্বরূপ. "বৃত্তি : ন্যায়দর্শন ও ব্যাকরণদর্শনের দৃষ্টিতে একটি আলোচনা". Philosophy and the Life-world 26, № 00 (2024): 129–39. https://doi.org/10.62424/jplw.2024.26.00.08.

Full text
Abstract:
সমগ্র জগৎ শব্দব্রহ্মময় এই মত ভর্তৃহরিসহ সকল শাব্দিকগণ স্বীকার করেন। শব্দ ছাড়া সমগ্র বিশ্ব অন্ধকারাছন্ন হয়। এই শব্দের নিত্যতা ও অনিত্যতা নিয়ে দার্শনিক মহলে মতের পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু শব্দ ও অর্থের মধ্যে যে একটি সম্বন্ধ রয়েছে তা সর্বজনস্বীকৃত। শব্দশ্রবণে অর্থবোধের প্রতি শব্দই কারণ। আর শাব্দবোধের ক্ষেত্রে বৃত্তিজ্ঞান আবশ্যক। এই বৃত্তি শব্দের নানান অর্থ থাকা সত্ত্বেও এই প্রবন্ধে ব্যাপারার্থে এই কথাটি প্রযুক্ত হয়েছে। সে বৃত্তির স্বরূপ কি? এবং তার বিভাগ ও বিভাগের স্বরূপ নিয়ে ন্যায়দর্শন সহ ব্যাকরণদর্শনে চর্চিত হয়েছে। প্রত্যেকটি দর্শনই তাদের যুক্তিজাল স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিস্তার করেছে। এই প্রবন্ধে তাদের মধ্যে ব্যাকরণ ও ন্যায় দর্শনের মত বিশেষভাবে আলোচিত করার প্রয়াস হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
22

Rahman, Md Mozibur. "এতিমের সম্পদ ব্যবস্থাপনা : পরিপ্রেক্ষিত ইসলাম |Management of Orphan’s Wealth : An Islamic Perspective". ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar 20, № 78 (2024): 75–94. http://dx.doi.org/10.58666/iab.v20i78.266.

Full text
Abstract:
A minor child without a father is usually called an orphan. Islam has given due importance to the issue of fostering orphans. It follows from this that it is forbidden to approach the wealth of orphans except in sound manner. Islamic Shariah has articulated basic principles and umabiguous guidelines regarding the upbringing of orphans and the management of their assets. It is absolutely necessary for an orphan fosterer to follow these principles. This article has employed descriptive and analytical manner and presented the Shariah guidelines for the management of orphans’ wealth from the Qur’ān, Ḥadīth and Fiqh (Islamic Law) literature. It has become evident from the article that it is necessary for the guardian to focus on the overall welfare of the orphans under him in every case and if he accomplishes the activities regarding assets management in the light of Shariah guidelines properly, it will be possible to ensure the socio-economic status and security of the orphans. Keywords : orphan, guardian, wealth, welfare, fosterage. সারসংক্ষেপ : সাধারণত পিতৃহীন নাবালক সন্তানকে এতিম হিসেবে অভিহিত করা হয়। ইসলাম এতিম প্রতিপালনের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেখা যায়, উত্তম পন্থা ব্যতীত এতিমের সম্পদের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করা হয়েছে। শরীয়ত এতিম প্রতিপালন ও তার সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মূলনীতি ও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। এতিম প্রতিপালনকারী তত্ত্বাবধায়কের জন্য এই সকল মূলনীতি অনুসরণ করা একান্ত আবশ্যক। আলোচ্য প্রবন্ধে আল কুরআন, হাদীস ও ফিকহী গ্রন্থাবলী হতে বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে এতিমের সম্পদ ব্যবস্থাপনার শরয়ী দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করা হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, অভিভাবকের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অধীনস্থ এতিমের সার্বিক কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক এবং শরয়ী দিকনির্দেশনার আলোকে সুষ্ঠুভাবে সম্পদ ব্যবস্থ্াপনার কার্য পরিচালনা করলে এতিমের আর্থÑসামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে। মূলশব্দ : এতিম, অভিভাবক, সম্পদ, কল্যাণ, প্রতিপালন।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
23

মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ আজম. "‘বঙ্গদেশের কৃষক’ ও ‘রায়তের কথা’ : স্থানিক-কালিক পটভূমি এবং চিন্তাপদ্ধতি প্রশ্নে". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 55, № 3 (2019). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v55i3.2.

Full text
Abstract:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বঙ্গদেশের কৃষক' এবং প্রমথ চৌধুরীর 'রায়তের কথা' প্রবন্ধ দুটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব এই যে, দুটি প্রবন্ধই বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষকের অবস্থা এবং উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থায় তাদের অবস্থান নিয়ে মূল্যবান পর্যবেক্ষণ হাজির করেছে। বাংলার ইতিহাস ও বর্তমানের সাথে ব্যাপারটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। 'বঙ্গদেশের কৃষক' ব্যাপকভাবে পঠিত হয়েছে, এবং পাঠ-পদ্ধতিতে সাধারণভাবে বিমূর্ত আদর্শবাদিতা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। অন্যদিকে 'রায়তের কথা' প্রবন্ধের তুলনামূলক কম সংখ্যক পাঠেও এর প্রায়োগিক মূল্য যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রবন্ধে প্রবন্ধ দুটি পঠিত হয়েছে মূলত স্থান ও কালের বিশেষ বাস্তবতার ফল হিসাবে, গুরুত্ব দেয়া হয়েছে চিন্তার প্রণালি-পদ্ধতির উপর। দেখানো হয়েছে, প্রবন্ধদ্বয়ে লেখকদের স্বতন্ত্র লেখকস্বর যথেষ্ট প্রতিফলিত হলেও যে পটভূমিতে এগুলো লিখিত হয়েছে তার স্বরই প্রধান থেকে গেছে। প্ৰায় পাঁচ দশকের ব্যবধানে একই বিষয় নিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলো নিজ নিজ কালের স্পষ্ট চিহ্ন বহন করছে। দুটি প্রবন্ধই বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে ওই কালের সবচেয়ে প্রভাবশালী সাধারণ বাস্তবতা - ঔপনিবেশিক শাসন।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
24

মাহবুবুল হক. "নজরুল-প্রবন্ধে বিদ্রূপের স্বরূপ". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 51, № 2 (2014). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v51i2.4.

Full text
Abstract:
কাজী নজরুল ইসলাম মূলত কবি; এমনকি তাঁর গদ্যেও তিনি প্রবলভাবে কবিস্বভাবী । রোমান্টিকের প্রকৃতি-প্রেম-সৌন্দর্যচেতনা, আত্ম-আবিষ্কারের উচ্ছ্বলতা নজরুলের কবিতা ও গানকে যতটা প্লাবিত করেছে প্রবন্ধকে ততটা না করলেও তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন সেখানেও প্রবল জোয়ার সৃষ্টি করে। প্রবন্ধের ক্ষেত্রে যে বস্তুনিষ্ঠতা, যুক্তি ও চিন্তার নৈর্ব্যক্তিকতা এবং গভীরতা আবশ্যক তা সর্বাংশে অনুসরণ করার মতো যত্নশীল নজরুল নন বলেই চূড়ান্ত বিচারে এগুলোকে প্রবন্ধ বলা যায় কিনা সে প্রশ্ন বারবারই উঠেছে। তবে নজরুল নিজেই যখন কিছুটা পরিমার্জনার পর প্রবন্ধ হিসেবে কিছু লেখা প্রকাশ করেন অথবা নিখাদ প্রবন্ধ হিসেবেই কয়েকটি রচনা লেখেন তখন সেগুলো প্রবন্ধকার নজরুলের মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সাময়িক প্রয়োজন বা সামাজিক কারণে লিখিত হলেও তা নজরুলেরই ব্যক্তিত্বকে প্রকারান্তরে প্রতিফলিত করে বলে এ জাতীয় রচনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। বিশেষত আমরা যখন অবগত হই যে, নজরুলের প্রবন্ধ রচনা প্রকৃতপক্ষে তাঁর সাংবাদিক জীবনের প্রতিভাস তখন এগুলো আলাদা তাৎপর্য পায়। কারণ বাংলা প্রবন্ধের সাথে সংবাদ সাময়িকীর রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক; সাহিত্য ও সাংবাদিকতা পরস্পর পরিপূরক হয়ে সমৃদ্ধ করেছে বাংলা প্রবন্ধের প্রস্তুতি পর্বকে। উনিশ শতকের শেষার্ধের গণেশ দেউঙ্কর এবং ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের মতো প্রবন্ধকার; দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, কৃষ্ণকুমার মিত্র, শিশিরকুমার ঘোষ-এর মতো প্রখ্যাত সাংবাদিক-প্রবন্ধকারদের উত্তরাধিকারী হিসেবে নজরুলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও তিনি মূলত সাহিত্যিক এবং তারপর প্রচারক-রাজনীতিক। রাজনীতি নজরুলের প্রবন্ধের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। ফলে ভাবোচ্ছ্বাসপূর্ণ জাগরণী বক্তব্য এসব প্রবন্ধে অনায়াসে জায়গা করে নিয়েছে। অনেকটা বিবেকানন্দের মতো উগ্র প্রচারক নজরুল, সমর্থক সন্ত্রাসবাদের। উচ্ছ্বাসময় লিখিত বক্তৃতার আঙ্গিকে তরুণদের আকৃষ্ট করার উজ্জীবনী মন্ত্র তিনি ছড়িয়েছেন গদ্যে। তাই সাময়িক পত্রের প্রয়োজন আর ‘গণরঞ্জন' এই দুয়ে মিলে নজরুলকে এক প্রচারমুখী সমাজমনস্ক সম্পাদকে পরিণত করেছিল । নজরুলের এসব লেখা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরও কারণ হলো, এগুলোর মধ্যে তাঁর বিশেষ একটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিচয় মুদ্রিত। বিষয়গত দিক ছাড়াও নজরুলের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রত্যয়জাত একটি চেতনা প্রবন্ধগুলি থেকে আবিষ্কার করা যায়' (মনজুর মোরশেদ, ১৯৯২ : ১)। রচনাগুলোর অধিকাংশই সাময়িক প্রয়োজনে লিখিত হলেও সাময়িকতার সীমা অতিক্রম করে কালোত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়েছে। গুণবিবেচনায় প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অভিভাষণ, সম্পাদকীয় বা পুস্তক সমালোচনা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন তাতে নজরুলের ব্যক্তিত্ব ও শৈলীর বিশেষত্ব ধরা পড়েছে বলেই এগুলো বিশদ আলোচনার দাবি রাখে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
25

মুনিরা সুলতানা. "নজরুলের প্রবন্ধ পাঠ : একটি পর্যালোচনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 51, № 2 (2014). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v51i2.7.

Full text
Abstract:
একজন কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, সঙ্গীতকার কিংবা শিশু-সাহিত্যিক হিসেবে নজরুলের শিল্পিসত্তা থেকে প্রবন্ধকার নজরুলকে ভিন্নতর শ্রেণির লেখক হিসেবেই চিহ্নিত করা যায়। কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) বেশ কিছু প্রবন্ধ সমকালে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় হিসেবে বেরিয়েছিল। তবে সাহিত্যচর্চার অঙ্গ হিসেবে তিনি সচেতনভাবে প্রবন্ধও রচনা করেছেন। তিনি নিজে যেসব রচনাকে প্রবন্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন, সেগুলি প্রথমে প্রকাশিত হয় 'নবযুগ' (১৯২০), 'ধূমকেতু' (১৯২২) আর 'গণবাণী' (১৯২৬) পত্রিকার সম্পাদকীয়তে। যুগবাণী, রুদ্র-মঙ্গল ও দুর্দিনের যাত্রীর অধিকাংশ রচনা এই শ্রেণির। রচনাগুলি প্রথম পর্যায়ে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় বাংলা ১৩২৬ থেকে ১৩৩৩ সালের মধ্যে, পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার কিছু কাল পরে। ধূমকেতু-তে সংকলিত হয় আঠারটি প্রবন্ধ এবং দুটি চিঠি। প্রবন্ধগুলোর একটি 'গণবাণী' থেকে সংগৃহীত। বাকি সবগুলোই সম্পাদকীয় বা প্রবন্ধের আকারে 'ধূমকেতু'-তে আত্মপ্রকাশ করে। নজরুলের বিখ্যাত রচনা রাজবন্দীর জবানবন্দী গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালে। রচনাটি রাজদ্রোহের অভিযোগে ধৃত কবির লিখিত জবানবন্দি। এটি পরে প্রলয়-শিখা কাব্যগ্রন্থের পরিশিষ্ট রূপে সংকলিত হয়। 'রাজবন্দীর জবানবন্দী'র প্রাথমিক উদ্দেশ্য যা-ই থাক না কেন, একে যুগবাণী, রুদ্র-মঙ্গল, দুর্দিনের যাত্রী আর ধূমকেতুর রচনাগুলির মতই 'ব্যাপক অর্থে প্রবন্ধ হিসেবে স্বীকার করে নেয়া যায়।'
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
26

আবু হেনা মোস্তফা এনাম. "নজরুলের প্রবন্ধ : বিষয়বৈচিত্র্য ও গদ্যশৈলী". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 43, № 2 (2001). https://doi.org/10.62328/sp.v43i2.428.

Full text
Abstract:
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) অন্তর্মগ্ন আবেগে, সংবেদনায় কবিসত্তার একনিষ্ঠ আন্তরধর্মে যথার্থ অর্থেই প্রথম মৌলিক কবি। কিন্তু তিনি কেবল কবিতা রচনা করেন নি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পৃথিবীব্যাপী সামূহিক অবক্ষয়-অত্যাচারের এবং রক্ষণশীলতার অচল-অটল স্তম্ভ ধ্বংসের সূচনায়; নিপীড়িত মানুষের সপক্ষে বৈষম্যহীন সমাজবিন্যাসের বাসনায়, প্রেমাকাঙ্ক্ষায়, ক্ষোভ-যন্ত্রণা-বিদ্রোহকে বাস্তব রূপ দানের জন্য এবং জীর্ণ-পুরাতনকে ভেঙে নতুন সমাজ নির্মাণের অঙ্গীকারে অন্তরচৈতন্যের প্রতিবাদী সত্তার তীব্র আলোর সম্পাতে রচনা করেছেন প্রবন্ধ। নজরুলের প্রাবন্ধিক অস্তিত্বের বিকাশ-পরিবর্ধন মূলত সম্পাদকীয় রচনার প্রেরণায় এবং অনেকাংশে বিভিন্ন সভায় প্রদত্ত অভিভাষণের শাব্দিক বিন্যাসে। যে কারণে স্বল্পসংখ্যক এবং ক্ষীণায়তনিক হলেও তাঁর প্রবন্ধ সমকালীন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) প্রাবন্ধিক সত্তার প্রাজ্ঞ জীবনবোধ এবং প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬) জাতিক এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য-অভিজ্ঞান অথবা মননশীল জীবনের সৃষ্টিময় উচ্চমার্গ সঞ্চারী নয়। তাঁর প্রবন্ধের বিষয়বৈচিত্র্য ও নিজস্ব ব্যক্তিত্বমণ্ডিত মোহনীয় শাব্দিক আবেগরাশির স্রোতে ভেসে যায় সমস্ত প্রাবন্ধিক ঐতিহ্য। রবীন্দ্রনাথের পরিশীলিত গদ্যভঙ্গির যৌক্তিক কাঠামো অথবা ইংরেজি, ফরাসি সাহিত্যের নিবিড় অধ্যয়ন, পেইন্টিং, সংগীত শ্রুতিমধুরতা, ঠাকুর পরিবারের বিদগ্ধ পরিবেশ এবং পঞ্চেন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপদীক্ষা-কথনকৌশল ও বস্তুজ্ঞানচৈতন্যের নির্যাস আহরণে কৃষ্ণনাগরিক প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্র (১৯১৪) আশ্রয়ী বাংলা কথ্যরীতির পরিমার্জিত বিন্যাসকৌশল নজরুলের অন্বিষ্ট নয়, তিনি তার চর্চা ও করেন নি; বরং সমাজসচেতনতা ও কালিক প্রয়োজনে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় রচনার তাগিদে প্রবন্ধ রচনা করলেও কবিসত্তার আবেগধর্মে বিষয়-সংলগ্নতার সূত্রে কবিতার মতোই তাঁর প্রবন্ধে ও সংগ্রথিত আরবি-ফারসি শব্দের সঙ্গে জাতিক-আন্তর্জাতিক পুরান-ঐতিহ্য-ইতিহাস ও লোকজ কথামালা। যে কারণে তাঁর প্রাবন্ধিক চেতনাপ্রবাহ-বিষয় এবং গদ্যকাঠামো স্বতন্ত্র একটি চিহ্নায়নের স্রোত-মুখী।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
27

তাশরিক-ই-হাবিব. "নজরুলের যুগবাণী: আঙ্গিক বিবেচনার নব প্রস্তাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 48, № 3 (2011). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v48i3.8.

Full text
Abstract:
কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) বিচিত্রমাত্রিক সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপেক্ষিত-অবহেলিত সাহিত্যরূপটি নিঃসন্দেহে তাঁর প্রবন্ধ। কবি হিসেবে যিনি সাধারণ পাঠক ও বোদ্ধাজন, বিজ্ঞ সমালোচকমহলের নিকট থেকে 'বিদ্রোহী কবি', 'জাতীয় কবি', 'যুগকবি', 'রবীন্দ্র-যুগের প্রথম মৌলিক কবি', 'বাংলা সাহিত্যের অন্যতম যুগ-প্রবর্তক কবি', 'জাতীয় মহাকবি'সহ অসংখ্য বিশেষণে অভিধায় পরিস্নাত, তিনি-ই যে প্রবন্ধের শিল্পমান সৃষ্টিতে অতি সাধারণ ও নগণ্য – এরূপ বিভ্রান্তিমূলক ধারণা পোষণের জন্য তাঁর সচেতন পাঠককে অধিক কায়-ক্লেশ স্বীকারের প্রয়োজন হয় না। কারণ, নজরুলের জীবনী ও সাহিত্য-মূল্যায়ন বিষয়ক প্রামাণ্য গ্রন্থসমূহের 'সূচি'-অংশে দৃষ্টিপাত করলেই এ সত্য উপলব্ধি করা সম্ভব। কবি হিসেবে তিনি খুব দ্রুতই বাঙালি-মানসের অশেষ বন্দনা ও শ্রদ্ধা- ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন এবং তাঁকে নিয়ে রচিত বিবিধ গ্রন্থের সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। অথচ তাঁর রচিত প্রবন্ধের শিল্পমান বিবেচনা প্রসঙ্গে সমালোচকমহল বিস্ময়করভাবে নীরব। এর অন্তরালে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিছু গৎবাঁধা ধারণা বলবৎ রয়েছে। প্রথমত, নজরুলের বিভিন্ন প্রবন্ধ-সংকলনের অন্তর্গত রচনাসমূহ মূলত একাধিক পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম, যা দীর্ঘ সময়ের পরিশীলন ও যুক্তি-মননের পরিচর্যা ব্যতীতই লিখিত। দ্বিতীয়ত, এসব রচনার প্রেক্ষাপট ও প্রসঙ্গ সমকালের বিভিন্ন রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক-সামাজিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় লিখিত। তৃতীয়ত, প্রবল আবেগোচ্ছ্বাস ও ভাবোন্মাদনাবশত প্রচারধর্মিতার উদ্দেশ্যে তিনি রচনার শিল্পমানকে অগ্রাহ্য করে কাব্যধর্মী ভাষায়, বজ্রকণ্ঠে অলংকার ও বিশেষণের বাহুল্য প্রয়োগের দ্বারা অত্যল্প সময়ে যে গদ্যরচনা (প্রবন্ধ) পাঠকের নিকট উপস্থাপন করেন, তা কোনোভাবেই কালজয়ী ও যুগোত্তীর্ণ প্রবন্ধসাহিত্যের অন্তর্গত হতে পারে না। চতুর্থত, এসব প্রবন্ধের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যই ছিল সাধারণ মানুষের নিকট বিশেষ বক্তব্য পরিবেশন ও তাৎক্ষণিকতার প্রয়োজন মেটানো। পঞ্চমত, তাঁর এ ধরনের রচনায় আশ্রিত ভাষাভঙ্গিতে যুক্তি, শৃঙ্খলা, সংযম ও অনুশীলনের সতর্কতা অনুপস্থিত। তাই এসব গদ্যরচনা অধিকাংশ সমালোচককেই নিরুৎসাহিত করেছে তাঁর প্রবন্ধ-সংকলনসমূহের শিল্পমান ও গদ্যরীতির প্রাতিস্বিকতা অনুধাবনে, নির্দেশে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নজরুল-বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা আড়াই শতাধিকের বেশি হলেও হাতে গোনা কয়েকটি প্রবন্ধ-সংকলন ও পত্রিকা, সাময়িকীতে নজরুলের প্রবন্ধ আলোচনার প্রতিপাদ্যরূপে বিবেচিত হয়েছে। এখানেও কথা থেকেই যায়। কারণ, যে সীমিত সংখ্যক গবেষণা, সমালোচনা গ্রন্থ, সংকলন-সাময়িকীতে নজরুলের উপর্যুক্ত সম্পাদকীয় কলামসমূহ সমালোচিত-বিশ্লেষিত হয়েছে, সেখানেও গবেষক-সমালোচকদের আলোচনার প্রতিপাদ্য হয়েছে উক্ত রচনাসমূহের ভাববস্তু।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
28

সিদ্দিকা মাহমুদা. "নজরুলের প্রবন্ধ : সমাজচৈতন্য". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 36, № 3 (1993). https://doi.org/10.62328/sp.v36i3.612.

Full text
Abstract:
বিশুদ্ধ নান্দনিক প্রযত্নে নয়, নজরুল প্রবন্ধ লিখেছেন প্রধানত দেশকাল পরিবেশ ও কর্মজগতের প্রণোদনায়। পরাধীন দেশের যন্ত্রণা, স্বসমাজ ও প্রতিবেশী হিন্দু সমাজের পারস্পরিক সহাবস্থান সত্ত্বেও উপজাত সমস্যা-সংঘাত, ধনবান-ধনহীনের বৈষম্য, অশিক্ষা-কুসংস্কারের প্রবল পীড়ন এবং সর্বোপরি মনুষ্যত্বের অপমান ও লাঞ্ছনা তাঁর সত্যসন্ধ স্পর্শকাতর হৃদয়ে যে তীব্র আলোড়ন তুলেছিল প্রবন্ধসমূহে তার স্বতঃস্ফূর্ত ও আবেগময় বহিঃপ্রকাশ লক্ষণীয়। এ সমস্ত প্রবন্ধের অধিকাংশ সম্পাদকীয় তাগিদে লেখা, কিছু কিছু আবার বিভিন্ন সভায় প্রদত্ত অভিভাষণ আকারে প্রাপ্ত, ফলত সুপরিকল্পিত প্রবন্ধের প্রস্তুতি ও পরিশীলন এখানে পাওয়া যায় না। তথাপি অবশ্যম্ভাবী রূপে তা স্বদেশ ও স্বকালস্পর্শী । ১৯১৯ সালে নজরুল যখন দেশে ফিরেছেন তখন চারদিকে পুঞ্জীভূত গণবিক্ষোভের প্রলয়-মেঘ। সন্ত্রাসবাদ কিছুটা স্তিমিত হলেও ১৯২০-এর সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের বিশেষ কলকাতা অধিবেশনে গৃহীত হয়েছে গান্ধীর অসহযোগ প্রস্তাব । পাশাপাশি সূচিত খিলাফত আন্দোলন। আর এই বছরই সান্ধ্যদৈনিক নবযুগে (১৯২০) নজরুল লিখে চলেছেন অগ্নিগর্ভ সম্পাদকীয় নিবন্ধ, যার কিয়দংশ নিয়ে যুগবাণী-র গ্রন্থনা। ১৯২২ এর ২৬শে অক্টোবর নজরুলের প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ যুগবাণী-র আত্মপ্রকাশ আর মাত্র তিনমাসের মধ্যেই তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার কর্তৃক তা বাজেয়াপ্তকরণ। যুগবাণী-র প্রথম প্রবন্ধ 'নবযুগ'-এ বিশ্বব্যাপী গণজাগরণ সম্পর্কে নজরুলের সচেতনতা লক্ষণীয়। রুশ বিপ্লব, আইরিশ স্বাধীনতা সংগ্রাম, নব্যতুর্কী আন্দোলন ইত্যাদি, সামন্তবাদ উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বৈশ্বিক বিদ্রোহ-বিপ্লবের তরঙ্গাভিঘাতে আন্দোলিত নজরুল দেখেছেন পরাধীন ভারতবর্ষের মুক্তিস্বপ্ন-- আজ রক্ত-প্রভাতে দাঁড়াইয়া মানব নব প্রভাতী ধরিয়াছে -"পোহাল পোহাল বিভাবরী, পূর্ব তোরণে শুনি বাঁশরি।”এ সুর নবযুগের। সেই সর্বনাশা বাঁশির সুর রুশিয়া শুনিয়াছে, আয়ার্ল্যান্ড শুনিয়াছে, তুর্ক শুনিয়াছে, আরো অনেকে শুনিয়াছে এবং সেই সঙ্গে শুনিয়াছে আমাদের হিন্দুস্থান,– জর্জরিত, নিপীড়িত, শৃঙ্খলিত ভারতবর্ষ।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
29

ভূঁইয়া ইকবাল, ভূঁইয়া ইকবাল. "মুহম্মদ শহীদুল্লাকে লেখা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত পত্র". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 53, № 1 (2015). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v53i1.7.

Full text
Abstract:
মুহম্মদ শহীদুল্লাকে লেখা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কয়েকটি অপ্রকাশিত পত্র এখানে সংকলিত হল। এই পাঁচ পত্র ১৯১৮ ও ১৯৫০-এর মধ্যে লেখা। ১৯২০ এর একটি পত্র লন্ডন থেকে লেখা; বাকিগুলি কলকাতা থেকে। এসব পত্র থেকে উভয় পণ্ডিতের ঘনিষ্ঠ ও হৃদ্যতাপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রথম পত্র এখন থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে ১৯১৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বরে লেখা। এই পত্রে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় প্রকাশিত সুনীতিকুমারের একটি প্রবন্ধের শহীদুল্লাহ-কৃত সমালোচনা “আরবী ও ফারসী নামের বাঙ্গালা লিপ্যন্তর” সম্পর্কে সুনীতিবাবুর প্রতিক্রিয়ার আভাস পাওয়া যায় । শহীদুল্লাহ্ সমালোচনাটি সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় প্রকাশের আগেই সুনীতিবাবু পরিষৎ পত্রিকা পরিচালনা সমিতির সদস্য হিসাবে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই পত্রে পত্রকার জানান যে, “আপনি আমার সামান্য প্রবন্ধ লইয়া যে গবেষণাপূর্ণ সমালোচনা করিয়াছেন তজ্জন্য আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ।” এই পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, শহীদুল্লাহ্ সমালোচনায় যেসব প্রসঙ্গ উত্থাপিত সে বিষয়ে সুনীতি বাবুর ভিন্নমত সম্বন্ধে বিশদভাবে আকেটি প্রবন্ধ প্রকাশ করবেন।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
30

জাবেদ ইকবাল, জাবেদ ইকবাল. "প্রমথ চৌধুরীর সমালোচনাভাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 53, № 3 (2016). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v53i3.11.

Full text
Abstract:
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে প্রধানত পরিচিত একজন পত্রিকা সম্পাদক, চলিত ভাষারীতির প্রবর্তক, সমালোচক ও সাহিত্যতাত্ত্বিক হিসেবে। ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা, সভ্যতা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, চিরন্তন ও সাময়িক প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তিনি প্রবন্ধ রচনা করেছেন। নানা জ্ঞান ও বিদ্যার অন্তর্ভেদী বিশ্লেষণ তিনি করেছেন একেবারে সহজ ঘরোয়া কথায়। প্রবন্ধসংগ্রহ-র বিভিন্ন প্রবন্ধে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে সাহিত্য সমালোচনা সম্পর্কে তাঁর ভাবনা। সে ভাবনায় তিনি সংস্কারের অন্ধতা ও মোহের পিছুটান থেকে মুক্তিলাভের প্রয়াসী, ইন্দ্রিয় পরতন্ত্র (sensual) না হলেও ইন্দ্রিয়বাদী (sensuous), বিবর্তনপন্থী, সর্বপ্রকার জড়তা-স্থিরতা-শিথিলতা-নিশ্চেষ্টতার বিরোধী; সুরুচিপন্থী ও সুন্দরের পূজারী। তাঁর সমালোচনা ভাবনার মূল কথা সাহিত্যের মুক্তি । এই মুক্তি প্রাচীন ও নবীন সংস্কারের অন্ধতা থেকে মুক্তি, অর্থহীন বন্ধন থেকে মুক্তি, গতানুগতিকতা হতে মুক্তি, বুদ্ধির মুক্তি ও ভাবালুতামুক্তি। বর্তমান প্রবন্ধে তাঁর সমালোচনা-ভাবনার এই বৈশিষ্ট্যসমূহ উন্মোচনের প্রয়াস গৃহীত হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
31

অলোক রায়. "জীবনানন্দের কাব্যভাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 39, № 3 (1995). https://doi.org/10.62328/sp.v39i3.529.

Full text
Abstract:
১৩৬১ সালে পৌষ মাসে 'কবিতা' পত্রিকায় নরেশ গুহ যখন 'জীবনানন্দ- দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা' নিয়ে আলোচনা করেন তখন অনেকের জানা ছিল না কবিতা নিয়ে লেখা জীবনানন্দের অসংখ্য গদ্য রচনার কথা ('কবিতার কথা' বইটি প্রকাশিত হয়েছে ফাল্গুন ১৩৬২ সালে) আর সেই জন্যই সম্ভবত তখন সমালোচকের মনে হয়েছিল, “আমাদের জ্যেষ্ঠ কবিদের মধ্যে অনেকেই প্রাবন্ধিকও। ... জীবনানন্দ শুধুই কবিতা লিখেছেন, কবিতা ছাড়া আর কিছুই লেখেননি। তাঁর যে দু-চারটি প্রবন্ধ সাময়িক পত্রের পাতায় প্রক্ষিপ্ত হয়ে আছে সে- ও একরকম কবিতাই । তাঁর কবিতারই মতো বিশেষ এক ধরনের গদ্যে লেখা।” অথচ দু-চারটি প্রবন্ধ নয়, জীবনানন্দ অনেক প্রবন্ধ লিখেছিলেন (বিশেষ এক ধরনের গদ্যে লেখা গল্প উপন্যাসের কথা বাদই দিচ্ছি), কবিতার কথা' বইতে আছে ছোট-বড় পনেরোটি প্রবন্ধ। তার বাইরেও আছে আরও অনেক প্রবন্ধ, গ্রন্থসমালোচনা, কাব্যগ্রন্থের ভূমিকা — পত্রসাহিত্যের কথাও স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখ্য । জীবনানন্দ গদ্য রচনায় অনাগ্রহী ছিলেন না, তবে গদ্য রচনা প্রকাশে ও প্রচারে হয়তো কিছুটা নিরুদ্যম। কবিতার মতো তাঁর গদ্যও নিশ্চয় এক স্বতন্ত্র রচনাশৈলীর নিদর্শন, বাক্য গঠনে সেই রকমই প্রচলিত রীতির ব্যতিক্রম, শব্দ নির্বাচনে (কখনও শব্দ নির্মাণে) অভিনবত্ব পদে পদে। কিন্তু তাই বলে কবির লেখা গদ্য, সেও একরকম কবিতাই'—এমন ভেবে তাকে প্রবন্ধ সাহিত্যের আঙিনার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা অন্যায় হবে। জীবনানন্দের গদ্যে ভাবনা কথা ও ইঙ্গিতের দুর্লভ স্বল্পতার ভিতর দিয়ে মানবসমাজকেই চিনে নেবার ও চিনিয়ে দেবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সেখানে বিশেষভাবে মিলবে তাঁর মনন-প্রতিভার পরিচয়। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক লাইন উদ্ধৃতির সাহায্যে হয়তো সব সময় গদ্যকার জীবনানন্দের সবটুকু বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে না।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
32

মুনিরা সুলতানা. "রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর প্রবন্ধ : বিজ্ঞান থেকে দর্শনে". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 49, № 1 (2011). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v49i1.11.

Full text
Abstract:
বৈজ্ঞানিক দুরূহ তত্ত্ব অবলম্বন করে রচিত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর প্রবন্ধগুলো বিষয়ভাবনার গুণে তাঁর কালে হয়েছিল অভিনব। হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্থূল মর্ম বইটি সম্পাদনা প্রসঙ্গে ত্রিবেদী যদিও বলেছিলেন, বাঙ্গালা ভাষা এখনও বিজ্ঞান প্রচারের উপযোগী হয় নাই। বিজ্ঞানের বাঙ্গালা এখনও গড়িয়া তুলিতে হইবে। ভাষার অভাবে এখনও বিজ্ঞানের গ্রন্থ লিখিতে কেহ সাহস করে না। লিখিলেই রচনা অপাঠ্য অবোধ্য হইয়া উঠে।' কিন্তু রামেন্দ্রসুন্দরের বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধের সংখ্যাই বেশি এবং প্রকাশের সাফল্য তিনি অর্জন করতে পেরেছিলেন এসব প্রবন্ধ ঘিরেই। জ্ঞান-পিপাসাকে অনিবার্য করে বিজ্ঞান-অনুরাগ সৃষ্টি এবং তা থেকে দর্শনভাবনায় স্থিত হতে চেয়েছেন রামেন্দ্রসুন্দর। অনুসন্ধিৎসু সত্তার বড়ো যে গুণ, সেই জিজ্ঞাসাবোধকে তিনি বহন করেছেন সারাজীবন। আর তার মীমাংসাসূত্র আবিষ্কারেই দর্শনে তাঁর আগ্রহ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দর্শন এবং বিজ্ঞানের সমন্বয় তিনি করতে চেয়েছেন সচেতন নৈপুণ্যে। বলা হয়, “রামেন্দ্রসুন্দর দার্শনিকের মতো চিন্তা করেছেন, বৈজ্ঞানিকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাকে বিন্যাস করেছেন এবং শেষে সাহিত্যিকের বোধ দিয়ে তা প্রকাশ করেছেন।” তিনি নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন এবং সে কারণে তাঁর বিজ্ঞান-পরিশীলিত নৈর্ব্যক্তিক সংস্কারমুক্ত শিক্ষা ও বুদ্ধির দ্বারা প্রাকৃত জগতের নিগূঢ় মর্মরহস্য-সম্পর্কিত তত্ত্ব এবং তথ্য গভীরভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ত্রিবেদীর অধিকাংশ বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধের সঙ্গে প্রধানত দুটি বিষয়ের যোগ ছিল — প্রাণতত্ত্ব এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান। এই দুই বিষয়ের গবেষণা অবস্থা সেকালে কীরূপ ছিল, সে- সম্পর্কে কিছু বলে নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, প্রাকৃতিক নির্বাচনের ভেতর দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠে প্রাণের অভিব্যক্তি কীভাবে ঘটে, সে-বিষয়ে চার্লস ডারউইনের যুগান্তকারী গবেষণাগ্রন্থ 'অরিজিন অব স্পিসিজ' (Origin of species) প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে, ত্রিবেদীর জন্মেরও (১৮৬৪) বছর পাঁচেক আগে। তারপরে বারো-চৌদ্দ বছর ধরে সেই তত্ত্ব ক্রমশ পরিমার্জিত হয় এবং বিশেষজ্ঞমহলে স্বীকৃতিও পায়। সাধারণভাবে বিবর্তন বলতে বোঝায় অনবরত ছোট ছোট বদলের মধ্য দিয়ে জীবের দীর্ঘ ক্রমবিকাশ। ডারউইন বিবর্তনের সপক্ষে বিপুল সাক্ষ্য উপস্থিত করেন। বিবর্তনের বাস্তব পন্থা হিসেবে তিনি দাঁড় করান ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন'কে। তিনি বলেন, আকস্মিক বদলের ফলে একাধিক জাতিরূপ (genotype) পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কিছু জাতক থাকবে যাদের শরীরে বদল হয়েছে, আবার অনেক জাতক থাকতে পারে যাদের কোনো বদল হয়নি। এদের মধ্যে যারা পরিবেশের সঙ্গে নিজেদেরও সহজে মানিয়ে নিতে পারবে তারা বেঁচে থাকবে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারবে। অন্যেরা সেই অনুপাতে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারবে না এবং শেষ পর্যন্ত লোপ পাবে। একেই ডারউইন বলেছেন 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'। আধুনিক প্রাণতত্ত্বের এটা একেবারে শুরুর কথা। বস্তুত খাদ্যের স্বল্পতা ও সীমাবদ্ধতা এবং জন্মহারের অতিবৃদ্ধি পর্যায়ে ম্যালথাস সে পদ্ধতি উপস্থাপন করেছিলেন, তা ছিল শুধু মানব বংশ-সম্পর্কিত । ডারউইন সে তত্ত্বকেই জীবজগৎ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে দিয়েছেন। বিষয়টি পরবর্তীকালে দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। অর্থাৎ যেকোনো ভাবেই হোক না কেন সমকালীন চিন্তায় এর প্রভাব বহুমাত্রিক।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
33

মুনিরা সুলতানা, মুনিরা সুলতানা. "রণেশ দাশগুপ্ত : সাহিত্য-ভাবনা ও সমালোচনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 53, № 3 (2016). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v53i3.7.

Full text
Abstract:
আজীবন সাম্যবাদের আদর্শে আত্মোৎসর্গীকৃত রণেশ দাশগুপ্ত বাংলাসাহিত্য-সমালোচনায়ও রেখেছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর সাহিত্য- সমালোচনামূলক গ্রন্থাবলিতে সমকালীন জাতীয়-আর্ন্তজাতিক প্রগতিশীল রাজনীতি ভাবনাই কেবল নয়, প্রকাশিত হয়েছে ঐকান্তিক সাহিত্য-ভাবনা ও সমালোচনা-তত্ত্বের সুনির্দিষ্ট, ব্যতিক্রমী মতাদর্শ ও দিক-নির্দেশনা। প্রগতিশীল শিল্প- আন্দোলনের নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্ব ও অংশীদারিত্ব ছিল তাঁর। তবে মার্কসবাদী সমালাচক হয়েও অন্ধ তত্ত্বানুগত্য করেননি তিনি। প্রথাবিরোধী ও সম্পূর্ণ সংস্কারমুক্ত দৃষ্টিতে তাঁর বস্তুনিষ্ঠ সাহিত্য-চিন্তা ও সমালোচনা ভাবনাগভীর মননশীলতায় কী করে সঞ্চারিত হয়েছে, এ প্রবন্ধে সে প্রসঙ্গটিই বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয়েছে; সেই সাথে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমালোচনামূলক প্রবন্ধ অনুসরণে মার্কসবাদী সাহিত্য-সমালোচক হিসেবে তাঁর বিচারভঙ্গির মূল্যায়নের প্রচেষ্টাও গৃহীত হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
34

প্রণবকুমার та কেকা. "ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ‘বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা’". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 59, № 1-2 (2024). https://doi.org/10.62328/sp.v59i1-2.10.

Full text
Abstract:
বর্দ্ধমান সাহিত্যসভা’র পথ চলা শুরু হয় ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ১২ চৈত্র। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল রাঢ় অঞ্চলের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের আলোচনা। এই অঞ্চলের সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারের চেষ্টার জন্য প্রাচীন পুথি ও প্রত্নবস্তু সংগ্রহেও ভূমিকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। পুথি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ছাড়াও এই সাহিত্যসভা পুথি সম্পাদনা, গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ এবং সাহিত্য গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। রাঢ়ের সংস্কৃতিচর্চার অঙ্গ হিসেবে আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহে এক সময় উদ্যোগী হয় সংস্থাটি। সাহিত্যসভার অধিবেশন কেবল প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত না, সংস্কৃতিচর্চার অঙ্গ হিসেবে সংগীত, অভিনয়, পট-প্রদর্শন, কবিগানেরও আয়োজন হতো। এই প্রবন্ধে সাহিত্যসভা গড়ে ওঠার ইতিহাস, এর উদ্দেশ্য এবং সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় আলোচিত হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
35

ইসরাইল খান. "লুৎফর রহমানের সাহিত্যচিন্তা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 37, № 3 (1994). https://doi.org/10.62328/sp.v37i3.588.

Full text
Abstract:
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬) তাঁর সমকালীন মুসলমান সমাজকে প্রগতির পথে অগ্রসর করায় প্রয়াসী ছিলেন। সৃজনশীল রচনার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন বহু সংখ্যক প্রবন্ধ। অনেক সমালোচকের মতে প্রবন্ধ-রচনার মধ্যেই তাঁর প্রতিভা মুক্তি পেয়েছে। প্রকাশের কৌশল এবং চিন্তার মৌলিকতায় বিশিষ্ট তাঁর প্রবন্ধ ও অন্যান্য রচনা থেকে লুৎফর রহমানের সাহিত্য-চিন্তার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি মনে করতেন, সাহিত্যের কাজ মানুষকে তার চারদিককার মন্দ- শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে তোলা। তাঁর ভাষায়, '... যে কথাগুলি মানুষের কল্যাণ বর্ধন করে, যাহা অর্থপূর্ণ, যাহা শুনিলে শ্রোতার মনে জ্ঞানের উদ্ভব হয়, তাহাই সাহিত্য'। বিষয়ে লেখনী চালনা করে সমাজকে প্রগতি ও উন্নতির পথে অগ্রসর করাতে চেয়েছিলেন, তাঁদের 'উদ্দেশ্য' ও 'প্রয়াসের' গুরুত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য অনুধাবন করতে না পারলে লুৎফর রহমানের চিন্তাধারার স্বাতন্ত্র্য ও ঔজ্জ্বল্য এবং তাঁর প্রতিভার মাত্রা উপলব্ধি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
36

মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম. "নজরুল প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বসু". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 49, № 2 (2012). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v49i2.4.

Full text
Abstract:
নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) যখন বাক্রদ্ধ, অর্থাৎ অসুস্থ হয়ে গেলেন, তার কিছুকাল পরে বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) তাঁর কবিতা পত্রের একটি 'নজরুল সংখ্যা' বের করেন। তাতে ‘নজরুল ইসলাম' নামে তিনি একটি প্রবন্ধ লেখেন। সম্ভবত, সেটা ছিল নজরুল সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসুর প্রথম নজরুল-মূল্যায়ন। আর যাঁরা ওই সংখ্যায় লিখেছিলেন, তাঁরা হলেন : নলিনীকান্ত সরকার, জীবনানন্দ দাশ, সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়, লীলাময় রায় ও আনওয়ারুল ইসলাম প্রমুখ । কবিতায় যেভাবে বেরিয়েছিল, কোনো পরিবর্তন-সংযোজন ছাড়াই নজরুল সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসুর উল্লিখিত প্রবন্ধটি পরে তাঁর কালের পুতুল (১৯৪৬) গ্রন্থে সংকলিত হয়। এরপরে বুদ্ধদেব বসু বাংলা-ইংরেজি যেখানেই নজরুলের নাম উল্লেখ করেছেন, সর্বত্রই ঐ প্রবন্ধের বক্তব্য ঘুরে-ফিরে এসেছে। প্রথম আলোচনায় তিনি নজরুল সম্পর্কে যে-সব মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত করেছিলেন, তারপর দেখা যায়, নজরুল সম্পর্কে তাঁর মত আর পরিবর্তিত হয়নি, বরঞ্চ নজরুলের কাব্য-সংগীত বিচারে তিনি যেন আরো কঠোর হয়েছেন। কবিতার নজরুল-সংখ্যা বের করার তাৎপর্য ছিল। সময়টা দুই মহাযুদ্ধের উন্মত্ততায় অস্থির। রাজনীতির বিক্ষুব্ধতা কেবল নেতা-কর্মীদেরই নয়, কবি-সাহিত্যিকদেরও অভিভূত করে তুলেছিল । বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, বাংলাদেশে নজরুল ইসলাম সাহিত্যের ক্ষেত্রে, এই অনভিপ্রেত সাময়িক উত্তেজনার প্রথম শিকার হয়েছেন। তাতে তাঁর সাহিত্য মার খেয়েছে, সাহিত্যের আবেদন যে চিরকালের মানুষের হৃদয়ে, যে হৃদয় দখল করতে পারে কেবল বিশুদ্ধ শিল্প, সেই বিশুদ্ধ শিল্পের উচ্চমঞ্চ থেকে তাঁর পদস্খলন হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
37

সুলতানা, মুনিরা. "আবদুল মান্নান সৈয়দ : সমালোচনা চিন্তার প্রাতিস্বিকতায়". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 55, № 1 (2017). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v55i1.6.

Full text
Abstract:
কবিতা-গল্প-প্রবন্ধ-সমালোচনা-উপন্যাস-নাটক-চিত্রকলাসহ আধুনিক প্রায় সকল সাহিত্য-উদ্ভাবনায় সৃষ্টির নিদর্শন রেখেছেন আবদুল মান্নান সৈয়দ (১৯৪৩-২০১০)। তাঁর সাহিত্যজীবন পঞ্চাশ বছরের। ছন্দ, সাহিত্যকাঠামো, রূপতত্ত্ব, নন্দনতত্ত্ব ও প্রাচ্য-প্রতীচ্য সাহিত্যতত্ত্ব সবই ছিল তাঁর অধিগত। বিশেষত সাহিত্যের শৈলী-শনাক্তকরণ ও বিচার-ব্যাখ্যায় তাঁর প্রকাশভঙ্গি অনন্য। ক্ল্যাসিক, আধুনিক ও সমকালীন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্যরচনায় তিনি নিরলস কাজ করেছেন। সাহিত্যক্ষেত্রে কিংবা সাহিত্য-সমালোচনায় তাঁর বহুচারী স্বভাব ও একাগ্র মানস নতুন সৃষ্টির পথে সবসময় ধাবিত হয়েছে। সমালোচনা তাঁর কাছে সৃষ্টির পরিপূরক নবনির্মাণ। সমালোচকের প্রমিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি একাধারে সমালোচনার পরিধি, পদ্ধতি ও রূপকল্পের নানা দিকের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন। সেইসাথে সমালোচনাকর্মের মাধ্যমে গদ্য ও গদ্যসাহিত্যের মান নির্ণয়েরও এক অসামান্য প্রচেষ্টা ছিল মান্নান সৈয়দের। বর্তমান প্রবন্ধে আবদুল মান্নান সৈয়দের সমালোচনা-চিন্তা, মতাদর্শ ও তাঁর সাহিত্য-মূল্যায়ন ভঙ্গিমা বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
38

মোমেনুর রসুল. "রশীদ করীমের প্রবন্ধ : সমকালীন সাহিত্য ও সাহিত্যিক প্রসঙ্গ". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 50, № 1 (2012). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v50i1.5.

Full text
Abstract:
চিন্তার গভীরতায়, মননের ঔজ্জ্বল্যে, প্রতিভার দ্যুতিময়তায় রশীদ করীম (১৯২৫-২০১১) বাংলা সাহিত্যে অনন্যসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী লেখক হিসেবে পরিচিত। চার দশকের বিস্তৃত পট পরিসরে তিনি কখনও ঔপন্যাসিক, কখনও গল্পকার, কখনও প্রাবন্ধিক, আবার কখনওবা অনুবাদকের পরিচয় নিয়ে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়েছেন। প্রতিটি পরিচয়েই তিনি তাঁর প্রাতিস্বিক প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন। কথাসাহিত্যিক হিসেবে রশীদ করীম বহুল আলোচিত হলেও তাঁর প্রাবন্ধিক সত্তা গুরুত্বহীন নয়। লেখকজীবনের সূচনাপর্বে ছোটগল্প ও উপন্যাস রচনায় অসাধারণ মুন্সীয়ানা প্রদর্শন করলেও পরবর্তী সময়ে প্রবন্ধ রচনায় তিনি গভীরভাবে মনোনিবেশ করেন।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
39

নুরুল আমিন. "কাজী আবদুল ওদুদের ‘নবপর্যায়'-এর সমাজভাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 45, № 1 (2001). https://doi.org/10.62328/sp.v45i1.364.

Full text
Abstract:
কাজী আবদুল ওদুদের প্রথম প্রবন্ধ-সংকলন নবপৰ্য্যায়' (প্রথম খণ্ড)। এতে সাতটি প্রবন্ধ : “মুস্তফা কামাল সম্বন্ধে কয়েকটি কথা” (১৩৩২), “সাহিত্যে সমস্যা”, “মানব-মুকুট” (চৈত্র ১৩৩১), “পণ্ডিত সাহেব” (১৩৩২), “কাজি ইমদাদুল হক স্মরণে” (১৯২৬), “সৃষ্টির কথা” (১৩৩২), “সম্মোহিত মুসলমান” (১৩৩৩); এবং শুরুতে সূচিপত্রের বাইরে একটি কবিতাও রয়েছে। ১৩৩৩ সালে প্রকাশিত এর প্রথম সংস্করণের গ্রন্থারম্ভে ওদুদ জানিয়েছিলেন, বইখানির নামকরণ করেছেন তাঁর ‘শ্রদ্ধেয় বন্ধু, অধ্যাপক মৌলবী আবুল হুসেন, এম এ, বি এল ।’ ঢাকার 'মুসলিম সাহিত্য-সমাজের প্রধান কর্মী-পুরুষ অধ্যাপক আবুল হুসেন কেন বইখানির এই নাম রেখেছিলেন বুঝতে কষ্ট হয় না। বইখানিতে ‘নবপর্যায়' শীর্ষক কোনো প্ৰবন্ধ না থাকলেও এ-বইয়ের কোনো কোনো প্রবন্ধের বক্তব্যে সামগ্রিকভাবে সমাজের নতুন একটি পর্যায়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়; বিশেষভাবে বাঙালি মুসলমান সমাজে নব জাগরিত একটি পর্যায়কে কামনা করা হয়েছে, তাই হয়ত নবপর্যায় নাম। ওদুদের ভাষায় বললে, ‘অসম্পূর্ণতা সত্ত্বেও এক নব-জাগরণের পূর্ব-লক্ষণ স্ফূরিত হচ্ছে এর পাতায় পাতায়। মানব-মুকুট সম্পর্কে বলা কথাগুলো ওদুদের নিজের জন্যও প্রযোজ্য। মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরীর মতো ওদুদের কলমের মুখেও এতে এমন অনেক কথা ‘বেরিয়েছে যা বাংলার মুসলিম সমাজের কাছে এক অতি বড় সুসংবাদ-অন্ততঃ মুসলমানের নব-জাগরণের প্রতীক্ষায় যাঁরা বসে আছেন তাঁদের চোখে এ এক চমৎকার পূর্ব-সূচনা।’ ১৩৩১ চৈত্রে লেখা ওদুদের ডায়েরি থেকে জানা যায়, ‘মুসলমান সমাজের এক নব পর্যায়ের জীবন' তাঁর ভাবনায় ভাসছে; ‘শুধু টাকা পয়সা মান প্রতিপত্তির জীবন নয়—ক্ষমা, সংযম, জাগ্রত মাহাত্ম্য এরই সুষমামণ্ডিত যে জীবন' সেটি।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
40

Nessa, Dr Nurunnaher Fayzer. "BANALATA SEN: THE FOUNDATION OF JIBANANANDA DASH’S LITERARY VISION (‘বনলতা সেন’ জীবনানন্দের কাব্যচিন্তার কোরক)". Prachyavidya Patrika 13 (5 липня 2024). http://dx.doi.org/10.62069/pvp.v13.a2.

Full text
Abstract:
সকল শ্রেষ্ঠ ও মহৎ সৃষ্টিই যুগে যুগে পঠিত হয়, চর্চিত হয়, পাঠককে ভাবায়, আনন্দ দান করে। জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ তেমনই একটি সৃষ্টি, যা বহুকাল ধরে পাঠক-সমালোচককে বর্ণনাতীত আনন্দ দান করে চলছে, তাদের কল্পনা ও সৌন্দর্যবোধকে তৃপ্ত করছে এবং নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তা আরও বহুকাল অব্যাহত থাকবে। বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সনে। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩৬০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতা – বিষয়ক পনেরোটি প্রবন্ধ নিয়ে ১৩৬২ সনে প্রকাশিত হয় কবিতার কথা শীর্ষক জীবনানন্দের মহামূল্যবান গ্রন্থটি। কবির অন্যান্য অনেক কবিতার মতোই বনলতা সেন গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘বনলতা সেন’ গভীর বিশ্লেষণে জীবনানন্দের কাব্যচিন্তার স্ফটিকস্বরূপ বলা যায়। বিশেষ করে ‘কবিতার কথা’, ‘কবিতা প্রসঙ্গে’, ‘কবিতার আত্মা ও শরীর’ প্রভৃতি প্রবন্ধে প্রকাশিত তাঁর কবিতা-বিষয়ক চিন্তাগুলো অপূর্ব দীপ্তি ছড়িয়ে আছে এই কবিতায়। বর্তমান আলোচনায় ‘বনলতা সেন’ কবিতাটিকে এই সিদ্ধান্তের আলোকেই আস্বাদনের চেষ্টা করা হবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
41

Nessa, Dr Nurunnaher Fayzer. "BANALATA SEN: THE FOUNDATION OF JIBANANANDA DASH’S LITERARY VISION (‘বনলতা সেন’ জীবনানন্দের কাব্যচিন্তার কোরক)". Prachyavidya Patrika 13 (5 липня 2024). http://dx.doi.org/10.57074/dspp.v13.a2.

Full text
Abstract:
সকল শ্রেষ্ঠ ও মহৎ সৃষ্টিই যুগে যুগে পঠিত হয়, চর্চিত হয়, পাঠককে ভাবায়, আনন্দ দান করে। জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ তেমনই একটি সৃষ্টি, যা বহুকাল ধরে পাঠক-সমালোচককে বর্ণনাতীত আনন্দ দান করে চলছে, তাদের কল্পনা ও সৌন্দর্যবোধকে তৃপ্ত করছে এবং নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তা আরও বহুকাল অব্যাহত থাকবে। বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সনে। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩৬০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতা – বিষয়ক পনেরোটি প্রবন্ধ নিয়ে ১৩৬২ সনে প্রকাশিত হয় কবিতার কথা শীর্ষক জীবনানন্দের মহামূল্যবান গ্রন্থটি। কবির অন্যান্য অনেক কবিতার মতোই বনলতা সেন গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘বনলতা সেন’ গভীর বিশ্লেষণে জীবনানন্দের কাব্যচিন্তার স্ফটিকস্বরূপ বলা যায়। বিশেষ করে ‘কবিতার কথা’, ‘কবিতা প্রসঙ্গে’, ‘কবিতার আত্মা ও শরীর’ প্রভৃতি প্রবন্ধে প্রকাশিত তাঁর কবিতা-বিষয়ক চিন্তাগুলো অপূর্ব দীপ্তি ছড়িয়ে আছে এই কবিতায়। বর্তমান আলোচনায় ‘বনলতা সেন’ কবিতাটিকে এই সিদ্ধান্তের আলোকেই আস্বাদনের চেষ্টা করা হবে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
42

প্রবাল দাশগুপ্ত. "বাংলা সাপেক্ষ সর্বনাম". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 40, № 1 (1996). https://doi.org/10.62328/sp.v40i1.520.

Full text
Abstract:
যে-যা-যিনির মতো য-পদ বর্তমান প্রবন্ধের বিষয়। এরা একরকম সর্বনাম। কোন্ জাতের? আমরা বলব সাপেক্ষ সর্বনাম ইংরিজিতে সবাই রেলেটিভ প্রোনাউন বলে। বাংলায় এর কোনো সর্বসম্মত প্রতিশব্দ নেই। সাপেক্ষ তো প্রস্তাবমাত্র। প্রস্তাবটা করে আমি যে সুধী পাঠকের প্রতিক্রিয়া চাইছি সে-কথা ঊহ্য। এ রকম নবরচিত শব্দ দেখলে পাঠককে যুগপৎ দুটো কাজ করতে হয়। প্রথম কাজ বক্তব্য বুঝতে চেষ্টা করা। দ্বিতীয় কাজ লেখকের প্রস্তাবিত পারিভাষিক শব্দ কানে বাজিয়ে শোনা। ভালো লাগছে কি না। এই দুটো কাজ একসঙ্গে করতে হয় বলে কম পরিচিত বিষয় নিয়ে বাংলায় লেখা প্রবন্ধ পড়তে খানিকটা চাপ পড়ে। সে বিষয় যদি সংবর্তনী সঞ্জননী ব্যাকরণ ওরফে ট্রান্সফর্মেশনাল জেনারেটিভ গ্রামার হয় তাহলে তো চাপ আরো বেশি। সে চাপ যাবে না পড়ে তার চেষ্টা করা যাক।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
43

সাখাওয়াৎ আনসারী. "রাজা রামমোহন রায়ের ভাষা-ভাবনা ও ব্যাকরণ-ভাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 40, № 3 (1997). https://doi.org/10.62328/sp.v40i3.501.

Full text
Abstract:
আধুনিক ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা রাজা রামমোহন রায় মধ্যযুগের অন্তিমলগ্নে পরাধীন ভারতবর্ষে ১৭৭৪১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। এই স্বল্পায়ুর মধ্যেই বহু বিচিত্র প্রতিভার অমিত দ্যুতিতে তিনি আলোকিত করেছেন ভারতবর্ষকে। ধর্ম ও সমাজসংস্কারক এবং বাংলা গদ্যচর্চার অগ্রদূত হিসেবে সাধারণ্যে তাঁর প্রধান পরিচয় চিহ্নিত হবার কারণে তাঁর অন্যান্য বহু পরিচয় ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কাছে রয়ে গেছে অনেকখানিই অজ্ঞাত। রাষ্ট্রচিন্তা, শিক্ষাচিন্তা, স্বাধিকার চেতনা ইত্যাকার বিষয়ে তাঁর মূল্যায়ন অধিকতর গবেষণার দাবী রাখে। ভাষা-ভাবনা ও ব্যাকরণ-ভাবনা সম্বন্ধেও এ কথা সমভাবে প্রযোজ্য। এ ভাবনা মূল্যায়নের অযথাযথতার কারণও দুর্লক্ষ্য নয়। প্রথমত রামমোহন শুধুমাত্র বৈয়াকরণই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই বহু ভাষাবিদ পণ্ডিত। এমন একজন বৈয়াকরণ ও বহু ভাষাবিদের পাণ্ডিত্য সম্যক উপলব্ধির জন্যে যে পরিমাণ জ্ঞানের ভিত্তি প্রয়োজন তা সাম্প্রতিক কালের বহু ব্যক্তির মধ্যেই দুর্লভ বললে অত্যুক্তি হয় না। দ্বিতীয়ত এ সকল ভাষা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর রচিত বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকা, প্রবন্ধ, পত্রাবলী ও নানাজনের সাথে আলাপচারিতায়। রামমোহন রচনাবলী প্রকাশিত হলেও তাঁর সকল বক্তব্যই একটিমাত্র গ্রন্থেই সুসংগ্রথিত নয়। ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন গ্রন্থ- প্রবন্ধ থেকে জড় করে এ ভাবনাকে সংবদ্ধ করা যথেষ্ট দুরূহ। তৃতীয়ত রামমোহনের অনেক বক্তব্যই তাঁর কালের প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং দেশ ও কালের প্রেক্ষাপটেই তাঁর রচনার মান বিচার্য। চতুর্থত তাঁর রচনার ভাষাগত দুর্বোধ্যতা। বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃতসহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভাষায় দক্ষ না হলে একজন গবেষক তার পূর্ণাঙ্গ ভাবোপলব্ধিতে ব্যর্থ হবে। অধিকন্তু, তিনি যে গদ্যে বাংলা ভাষার গ্রন্থ-প্রবন্ধ লিখেছেন তা বাংলা গদ্যের উন্মেষকালের বলে কালগত বিচারে সর্বসাধারণের বোধগম্য নয়। তাঁর ভাষা-ভাবনা ও ব্যাকরণ-ভাবনার বিচার শুধুমাত্র উপর্যুক্ত প্রতিবন্ধকতা উত্তীর্ণ হয়েই সম্ভব।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
44

মোহাম্মদ ইদরিস আলী. "কাজী আবদুল ওদুদ". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 38, № 1 (1994). https://doi.org/10.62328/sp.v38i1.570.

Full text
Abstract:
মোহাম্মদ ইদরিস আলী ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন লেকচারার ছিলেন। পরে শিক্ষাবিভাগে সরকারি চাকুরিতে যোগ দিয়ে ১৯৬৯ সালে অবসর নেন। ১৯৬৯-৭২ সালে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন সহকারী অধ্যাপক রূপে; ১৯৭২-৭৪ সালে ছিলেন সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক। ১৯৭৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।সাহিত্য সমালোচনায় ও গবেষণায় তিনি বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন। সংখ্যায় বেশি না-হলেও তাঁর লেখা বিদগ্ধজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল । অলস দিনের অবান্তর হাওয়া তাঁর একটি বই: তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন গবেষণামূলক পত্রিকায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ ১৯৪৮ সালে রচিত বর্তমান প্রবন্ধটি তাঁর অপ্রকাশিত রচনাসমূহের একটি । কাজী আবদুল ওদুদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার ভিত্তিতে লেখা বলে রচনাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কাজী আবদুল ওদুদের জীবনকথা, অবদান ও সেকালের প্রেক্ষাপটকে অনুধাবন করার প্রয়াসও এতে রয়েছে। এটা পাওয়া গেছে লেখকের কন্যাজামাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহতাবউদ্দিন আহমদের সৌজন্যে। মোহাম্মদ ইরিস আলীর এই রচনাটিতে তাঁর অনুসৃত বানানে কোনো পরিবর্তন করা হয় নি। রচনায় বর্তমান সময়, এখন, সম্প্রতি ইত্যাদি ১৯৪৮ সাল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
45

মাহবুবুল হক, মাহবুবুল হক. "রবীন্দ্রনাথের ব্যাকরণ-ভাবনা ও ব্যাকরণ চর্চা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 52, № 3 (2015). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v52i3.2.

Full text
Abstract:
উনিশ শতকের শেষ দশক পর্যন্ত বাংলা ব্যাকরণ মূলত ছিল প্রথাগত ব্যাকরণের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করে বাংলা ভাষার স্বকীয় শৃঙ্খলা আবিষ্কারের পরিবর্তে এ ধরনের ব্যাকরণ রচনা করতে গিয়ে সংস্কৃত পণ্ডিতেরা তাতে আরোপ করেছিলেন প্রচুর সংস্কৃত সূত্র, তাকে দিয়েছিলেন আনুশাসনিক রূপ। বাংলা যে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন ভাষা এবং এর ব্যাকরণ-কাঠামো যে সংস্কৃত থেকে আলাদা তা এ সব সংস্কৃত পণ্ডিত মানতে পারেন নি। এ ধরনের প্রচুর ব্যাকরণ লেখা হয়েছিল। কিন্তু এগুলোকে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিতে পারেন নি। এগুলো সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল নেতিবাচক। বাংলা ভাষার যে নিজস্ব ধ্বনি-পদ্ধতি, রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, বাক্যরীতি রয়েছে সে কথা জোরালো ও স্পষ্টভাবে তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন। শরৎচন্দ্র শাস্ত্রী ভারতী পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩০৮ সংখ্যায় ‘নূতন বাংলা ব্যাকরণ' নামে যে প্রবন্ধ লিখেছিলেন তার প্রতিক্রিয়ামূলক জবাবে রবীন্দ্রনাথ স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিলেন, বাংলা ভাষা বাংলা ব্যাকরণের নিয়মে চলে এবং সে- ব্যাকরণ সম্পূর্ণরূপে সংস্কৃত ব্যাকরণের দ্বারা শাসিত নহে।” (রবীন্দ্রনাথ, ১৩৯১ : ১২১) বঙ্গদর্শন পত্রিকায় পৌষ ১৩০৮ সংখ্যায় প্রকাশিত 'বাংলা ব্যাকরণ' প্রবন্ধে তিনি লেখেন : 'প্রকৃত বাংলা ব্যাকরণ একখানিও প্রকাশিত হয় নাই। সংস্কৃত ব্যাকরণের একটু ইতস্তত করিয়া তাহাকে বাংলা ব্যাকরণ নাম দেওয়া হয়।” (রবীন্দ্রনাথ, ১৩৯১ : ২০)
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
46

মোহাম্মদ আজম. "‘রবীন্দ্র-ভাবনা' : সাহিত্য-বিচার-পদ্ধতি ও সাহিত্যচিন্তা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 44, № 3 (2002). https://doi.org/10.62328/sp.v44i3.373.

Full text
Abstract:
স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্বের কবছর এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রায় তিন দশকের দীর্ঘ সময়-পরিসরে আহমদ শরীফ বাংলাদেশের বিদ্বৎসমাজে একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি ভোগ করেছিলেন নমস্য এক দিক-নির্দেশকের ভূমিকা, আর মৃত্যুর পরও তাঁর কৃতি চিহ্নিত হয়েছে ঈর্ষণীয় মহিমা ও শ্রদ্ধায়। বাঙালির সাহিত্য ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে, তাঁর প্রধান বিচরণক্ষেত্রে, তিনি সৃষ্টিশীল অনন্যতায় বারংবার দীপিত-প্রাণিত-প্রশ্নাকুল করেছিলেন সমকালকে। স্বাতন্ত্র্য-চিহ্নিত দৃষ্টিতে বাঙালির প্রধান পুরুষদের পুনঃপাঠ করেছেন তিনি, প্রশ্নালোকে উন্মুক্ত করেছেন তাঁদের অনালোকিত-স্বল্পালোকিত কোনো-কোনো প্রান্তদেশ; আর এভাবে, আকাঙ্ক্ষা জাগাতে চেয়েছেন বৃহৎ ও মহৎ জীবনের প্রতি। স্বভাবতই তিনি বারবার ফিরে তাকিয়েছেন বাঙালির মহত্তম প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিপুলায়তন জীবন ও সৃষ্টিতে। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম প্রবন্ধ-গ্রন্থে সংকলিত হয়েছিল অন্তত চারটি রবীন্দ্র-বিষয়ক রচনা। আর তাঁর শেষ রচনাটিও রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই লেখা। এই সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তাঁর রবীন্দ্র-বিবেচনায় পরিবর্তন ঘটেছে, দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারের মানদণ্ডও একরকম থাকে নি। বহুল আলোচিত বিতর্কিত একাধিক প্রবন্ধের উপস্থিতিতে আর নিজস্ব ঘরানার সাহিত্যচিন্তার তাপে-ভাঁপে আহমদ শরীফের রবীন্দ্র-ভাবনা বিশিষ্টতা পেয়েছে।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
47

কাজী তামান্না হক সিগমা, কাজী তামান্না হক সিগমা. "চম্পকনগরের উপকথা : প্রসঙ্গ সুরভাবনা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 54, № 3 (2017). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v54i3.12.

Full text
Abstract:
মধ্যযুগের একটি জনপ্রিয় আখ্যানকাব্য মনসামঙ্গল । প্রতিযুগে মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী মানুষ এ-কাব্যকীর্তন শ্রবণ করে নিজেদের রসপিপাসা ও ধর্মপিপাসা চরিতার্থ করেছে। জনপ্রিয় এ-কাব্য নিয়ে নবতর নিরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ। এ-বিভাগের প্রযোজনায় মনসামঙ্গলের রূপান্তরিত নাট্যরূপ চম্পকনগরের উপকথার সুরভাবনা নিয়ে পরিকল্পিত হয়েছে এ-প্রবন্ধ৷
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
48

মাহমুদ শাহ কোরেশী. "ফরাশি-বাংলা অভিধান ও ব্যাকরণ". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 35, № 1 (1991). https://doi.org/10.62328/sp.v35i1.669.

Full text
Abstract:
বিদেশী ভাষা শেখা ও শেখানোর দুটি বড় হাতিয়ার হচ্ছে অভিধান ও ব্যাকরণ। আজকাল অবশ্য পৃথিবীর সব উন্নত দেশে ভাষাপ্রবেশক পাঠ্যপুস্তকের ছড়াছড়ি দেখা যায়। মানবিক কৌতূহল থেকে ভাষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তিগত জ্ঞান জাহিরের অভিলাষে এগুলো তৈরী হচ্ছে। যে-বই কয়েক বছর খুব বেশী চললো তাদের শিক্ষক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা মিলে ঠিক করেন যে— না, এটা আর চলতে পারে না; বড্ড সেকেলে। শুরু হলো নতুন কলম, নতুন বই। এগুলো আর যাই হোক খুবই চমকপ্রদ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশী সাহায্যে বা এককভাবে দেশী বিশেষজ্ঞরা বই তৈরী করেছেন কিন্তু তাতে ভাষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তি ও সার্বিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। নেওয়া হলে পরিস্থিতি এখন যেখানে দাঁড়িয়েছে সেখানে আসতো না। যাহোক, প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হলো মূলত ফরাশি- বাংলা অভিধান ও ব্যাকরণের কথা মনে করে। এবং তাও ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে। সম্প্রতি আমরা একটি প্রথম ফরাশি-বাংলা অভিধানের খোঁজ পেয়েছি। এটি অবশ্য প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো ভাষাচার্য ড. সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন ফরাশি ভাষার শিক্ষক, শিশির ভট্টাচার্য তাঁর অনুসরণে এ বিষয়ে একটি ছোট্ট প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র মাসিক ‘দেন্তা'র পনের সংখ্যায় (জুলাই, ১৯৯১) ফরাশি ভাষায় প্রকাশিত।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
49

সৈয়দ আজিজুল হক. "মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর দর্শনচিন্তা". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 45, № 1 (2001). https://doi.org/10.62328/sp.v45i1.362.

Full text
Abstract:
পারস্য প্রতিভা গ্রন্থের জন্য খ্যাত মোহম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪) বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে দর্শনচর্চায় অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মানুষের ধর্ম (১৯৩৩) গ্রন্থটি দর্শনভাবনায় সমৃদ্ধ। এ বইয়ের প্রকাশকালে তাঁর বয়স যদিও পঁয়ত্রিশ বছর, কিন্তু এর কিছু প্রবন্ধ পত্রিকায় ছাপা হয় তাঁর ছাত্রজীবনেই, যখন তিনি বাইশ/ তেইশ বছরের যুবকমাত্র। পারস্য প্রতিভা' গ্রন্থেরও কিছু প্রবন্ধত দর্শনচিন্তায় ঋদ্ধ এবং যা তাঁর একান্ত তরুণ বয়সের রচনা। আমরা জানি, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দর্শনের ছাত্র ছিলেন। তবে এটাই তাঁর দর্শনচর্চার একমাত্র ব্যাখ্যা নয়। বরং এই বিশ্বজগৎ, তার সৃষ্টিবৈচিত্র্য ও জীবনরহস্যকে লেখক দার্শনিকের অনুসন্ধিৎসা নিয়ে অনুধাবন করতে চেয়েছেন, এটাই তাঁর দর্শনচিন্তার মূল বিষয়। পরিণামে তিনি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তা ভিন্নভাবে বিবেচ্য। তবে বাঙালি শিক্ষিত মুসলিম সমাজ যখন কেবল উন্মেষ পর্যায়ে, সমাজের শিক্ষিত অংশটি পরিমাণগত বিবেচনায় একেবারেই ক্ষুদ্র, গোটা সমাজের ওপর যখন অশিক্ষা কুশিক্ষা, কুসংস্কার, পশ্চাৎপদতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কূপমণ্ডূকতার ঘন গভীর আচ্ছাদন তখন তার অশুভ বন্ধন থেকে বেরিয়ে এসে ভারতীয়, আরবীয়, পারস্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের আলোকে নিজ চিন্তা ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার এই প্রয়াস অবশ্যই প্ৰশংসনীয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জীবন ও জগৎ ব্যাখ্যায় দার্শনিকের অনুসন্ধিৎসার বিষয়টি স্বতন্ত্রভাবে অনুধাবনীয়। দার্শনিকের সঙ্গে ধর্মবেত্তার একটি মৌলিক পার্থক্য হলো, দার্শনিক যুক্তির পথ অনুসরণ করেন আর ধর্মবেত্তা বেছে নেন একান্ত বিশ্বাসের পথ। অন্যদিকে যুক্তিশীলতা উভয়ের মৌলধর্ম হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞানীর সঙ্গেও দার্শনিকের রয়েছে পার্থক্য। বিজ্ঞানীর আরাধ্য যেখানে প্রত্যক্ষ জ্ঞান, বস্তুনির্ভর গবেষণা; দার্শনিকের অনুধ্যান সেখানে বস্তুকে অতিক্রম করে বিশ্বপ্রকৃতি ও মানবপ্রজাতির চেতনপ্রক্রিয়ার নানা বৈশিষ্ট্যকে আশ্রয় করে অগ্রসরমান। উভয়ের আরাধনার বৈশিষ্ট্য যেমন ভিন্ন তেমনি বক্তব্য প্রকাশের ভাষাও স্বতন্ত্র। বিশ্বজগৎ, তার সৃষ্টিরহস্য, প্রকৃতিলোক ও মানবমনের সূক্ষ্ম ও নিগূঢ় বৈশিষ্ট্যসমূহকে অনুধাবনের জন্য দার্শনিককে একাগ্র ধ্যানে নিয়োজিত থাকতে হয়। এই ধ্যান ধর্মচর্চাকারীর ঈশ্বর-আরাধনা থেকে যেমন ভিন্ন তেমনি বিজ্ঞানীর গবেষণাগারের সাধনা থেকেও পৃথক। দার্শনিককে ধর্মবেত্তা ও বিজ্ঞানী উভয়ের থেকে সূক্ষ্ম স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সৃষ্টি-উৎস, প্রাকৃতিক নিয়ম, মানবের দেহ-মনের সম্পর্ক, মানুষের শুভ-অশুভ, মহৎ-অমহৎ বোধ সংক্রান্ত নানা জিজ্ঞাসার যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর খুঁজতে হয়। মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও ধর্মবেত্তার এই সূক্ষ্ম পার্থক্য সম্পর্কে কতটা সচেতন থেকে দর্শনচর্চা করেছেন, তাঁর দর্শনচিন্তার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি সেটা বিবেচনা করাও এ প্রবন্ধের লক্ষ্য।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
50

মোমেনুর রসুল. "আহমদ ছফার উপন্যাসে সমাজ ও রাজনীতি". সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka 49, № 1 (2011). http://dx.doi.org/10.62328/sp.v49i1.10.

Full text
Abstract:
ব্যক্তিক জীবনের অন্তঃস্থ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্রবণতাগুচ্ছ, যেমন আবেগ-উদ্দীপনা-সংবেদনা-বিষাদ এবং তার সমান্তরালবর্তী সামাজিক ও রাষ্ট্রিক জীবনের নানান অঘটন ও ঘটনাকে উপজীব্য করে দীর্ঘদিনব্যাপী খানিকটা ব্যতিক্রমী ধারার গ্রন্থ রচনা করে সর্বমহলে যিনি প্রশংসিত ও সমালোচিত হয়েছেন, তিনি তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল লেখক আহমদ ছফা (১৯৪৩-২০০১)। ষাটের দশকের মধ্যবর্তী পর্যায়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাব এক উল্লেখযোগ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। দেশ ও জাতির কাছে দায়বদ্ধ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর ধরে আহমদ ছফা রচনা করেছেন অনেক কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, অনুবাদ, গান প্রভৃতি। শিল্প-সাহিত্যের সকল শাখায় স্বচ্ছন্দ বিচরণ সত্ত্বেও কথাসাহিত্যে বিশেষত উপন্যাস রচনায় তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। বলা যেতে পারে মননে-মেধায় শিল্পিত স্বভাবে তাঁর উপন্যাসসমূহ স্বকীয়তামণ্ডিত। আহমদ ছফা তাঁর স্বকাল ও স্বসমাজকে উপন্যাসের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছেন। প্রত্যয়দীপ্ত অভিব্যক্তিতে তিনি বাঙালির আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, শোষণ, সংগ্রাম ও রাজনীতির বহিঃস্রোতকে ব্যক্তির অন্তর্জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত করে উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন। মূলত তাঁর উপন্যাসের পটভূমি বৃহৎ সময় পরিসরে বিধৃত। ১৯৪৭-এর দেশভাগ, পরবর্তী সামরিক শাসন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা এবং গণতান্ত্রিক শাসনামলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক চিত্র গুরুত্ব পেয়েছে তাঁর উপন্যাসসমূহে। ইতিহাসের এই সময়কে তিনি ধারণ করেছেন বৈচিত্র্যময় বিষয়ের অনুষঙ্গে। মূলত সংকটময় সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবনের জটিলতা অন্বিত হয়েছে তাঁর উপন্যাসে। ফলে তাঁর উপন্যাসে সমাজ ও রাজনীতি এক অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত । বর্তমান প্রবন্ধে আমরা তাঁর সাতটি উপন্যাসে প্রতিফলিত সমাজ ও রাজনীতির স্বরূপ সন্ধানে সচেষ্ট হব।
APA, Harvard, Vancouver, ISO, and other styles
We offer discounts on all premium plans for authors whose works are included in thematic literature selections. Contact us to get a unique promo code!

To the bibliography